কিছু কথা করোনা আক্রান্তের মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। ফাইল চিত্র
করোনা আক্রান্তের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দূরত্ব। প্রিয়জনেদের কাছে থাকতে পারবেন না রোগী। একেই এই রোগ নিয়ে ভয়, আতঙ্ক। তার উপরে অসুস্থতার গোটা সময়টা মানসিক লড়াই চালাতে হয় একাই। রোগীর খোঁজ নিতে বারবার ফোন করা হয়েই যায়। কথা বলার অবস্থায় থাকলে গল্পও হয়। পরিজনেদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে অবশ্যই মন ভাল হতে পারে রোগীর। তবে করোনা আক্রান্তের সঙ্গে আড্ডায় কী কথা বলা যাবে আর যাবে না, নিজে তা ভাল ভাবে ভেবে নেওয়া দরকার। আপনার একটি কথায় যেন আরও অসুস্থ বোধ না করেন সংক্রমিত বন্ধু-আত্মীয়, সে দিকে খেয়াল তো রাখতেই হবে।
কী বলবেন, তা নিজের ইচ্ছার উপরে নির্ভর তো করেই। তবে কোন কথা বলবে না, তা-র কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া রইল নীচে। বরং তার পরিবর্তে কী বলা যায়, তা-ও দেখে নিন।
কী বলবেন না
১) কী ভাবে সংক্রমিত হলেন?
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আর এ প্রশ্নের কোনও মানে নেই। বারবার তাঁকে জি়জ্ঞেস করলে আতঙ্ক বাড়তে পারে।
২) এই সব ওষুধ খেলে কাজে দেবে।
নিজের মতো ওষুধ বললে ক্ষতি হতে পারে রোগীর। চিকিৎসকের উপরে ভরসা রাখুন।
৩) হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না।
সচেতন মানুষ হলে তিনি অবশ্যই সে তথ্য জানবেন। রোগীকে সে কথা মনে করিয়ে উদ্বেগ বাড়ানোর মানে নেই।
৪) তোমাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম, অথবা বাড়ির সকলের জন্য চিন্তা করছি।
করোনা নিয়ে আতঙ্ক যথেষ্ট তৈরি হয়েছে। রোগী নিজেকে এবং পরিজনেদের নিয়ে চিন্তিতই রয়েছেন। তাঁর মানসিক চাপ বাড়াতে পারে আপনার উদ্বেগ।
তা হলে কী বলবেন?
১) কেমন আছেন তিনি, জানতে চাইবেন।
২) চিন্তা না করে বিশ্রাম নিলে করোনা রোগীদের জন্য ভাল। এ কথা মনে করাবেন।
৩) হাসপাতালে না গিয়ে, বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন বেশির ভাগ রোগী। এমন তথ্য ভাগ করে নেবেন।
৪) যে কোনও প্রয়োজনে যে আপনাকে পাশে পেতে পারেন সংক্রমিত মানুষটি, সে কথা জানানো জরুরি।