জরুরি ভিত্তিতে বয়স্কদের কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন? ছবি: শাটারস্টক।
বাড়ির বয়স্ক সদস্যের নিয়মিত ভাবে শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত, প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হতে পারে। রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ, ট্রাইগ্লিসারাইড প্রভৃতি যেন সঠিক মাত্রায় থাকে, সে দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। বয়স ৭০ বছর পেরিয়ে গেলে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। যাঁদের আগে থেকেই হার্টের রোগ বা ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি। তাই এই বয়সে কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি ভিত্তিতে করিয়ে রাখা দরকার, তা জেনে নিন।
ত্বকের ক্যানসার
‘বেসিক স্কিন ক্যানসার স্ক্রিনিং টেস্ট’ করিয়ে রাখা খুব জরুরি। এই বয়সে মেলানোমা বা ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনেকেই এই পরীক্ষাটি করান না। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন, বয়স্কদের জন্য এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি।
পিএসএ টেস্ট
‘পিএসএ টেস্ট’ বা ‘প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট’-এর মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। ‘ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ অনকোলজি’-তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৫০ পেরিয়ে গেলেই পুরুষদের এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। তবে রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ৪-এর বেশি হলেই সতর্ক হতে হবে। নিশ্চিত হতে ‘ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট’ করিয়ে রাখাও জরুরি।
কোলোনোস্কোপি
আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের শিকার এখন অনেকেই। বিশেষ করে, বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। যদি আইবিএস থাকে তা হলে খাদ্যনালিতে টিউমার আছে কি না, তার পরীক্ষা করিয়ে রাখা ভাল। পাশাপাশি, কোলোনোস্কোপিও করে রাখতে হবে।
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না, তা জানতে লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করিয়ে রাখতেই হবে। প্রতি বছরই এই পরীক্ষা করানো ভাল।
ব্লাড সুগার
রক্তে শর্করা বাড়ছে কি না, তা বুঝতে ডায়াবিটিসের কিছু পরীক্ষা করাতেই হবে। যেমন, হিমোগ্লোবিন এ১সি, এইচবিএ১সি, ওরাল গ্লুকোজ় টলারেন্স টেস্ট (ওজিটিটি) পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
হার্টের পরীক্ষা
হার্টের রোগ থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। না হলে ইসিজি, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাম, করোনারি ক্যালশিয়াম স্কোরিং, ক্ষেত্র বিশেষে এমআরআই করিয়ে রাখা ভাল।
চোখ পরীক্ষা
বয়সকালে চোখের কিছু পরীক্ষা করিয়ে রাখতেই হবে। গ্লকোমার ঝুঁকি রয়েছে কি না, ডায়াবিটিসের কারণে চোখের ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানতেই পরীক্ষাগুলি করাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনট্রাঅকুলার প্রেসার টেস্ট, কালার ভিসন টেস্ট, অপটিকাল কোহেরেন্স টোমোগ্রাফি-সহ আরও কিছু পরীক্ষা করাতে হবে।