প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
একে অতিমারিতে বেশির ভাগ সময়ে ঘরবন্দি। তাই হেঁসেলে নানা রকম রান্না করেই দিন কাটছে। তার উপর মুঠোফোনের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে সারাক্ষণ দেশ-বিদেশের রান্নার প্রতিযোগিতার শো। আপনারও শখ জাগে নানা রকম রান্না করবেন। কিন্তু হেঁসেলে কিছু কেতাদুরস্ত যন্ত্র না থাকলে আপনি চাইলেও খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন না।
একেকটা যন্ত্রের দাম নেহাত কম নয়। কিন্তু তালিকা জেনে রাখতে ক্ষতি কি। কোনও দিন শখপূরণ করতে চাইলে এক এক করে টাকা জমিয়ে কিনতেও পারেন।
স্ট্যান্ড মিক্সার
আপনি কি বেক করতে ভালবাসেন? নানা রকম কেক, প্যাটি, পাই বা পাউরুটি বানানো আপনার নেশা? তা হলে আপনার একটা স্ট্যান্ড মিক্সারের প্রয়োজন। মিক্সারের কাজ করা ছাড়াও ময়দা মাখার মতো কিছু কাজ সহজেই করে ফেলা যাবে এই যন্ত্রের সাহায্যে। দাম পড়বে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
ফুড থার্মোমিটার
একটি রেসিপিতে চকোলেট গলিয়ে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় আনতে হবে। কী করে করবেন? ফুড থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখা যায়। রান্না করতে করতেই আপনি যন্ত্রটির সাহায্যে গ্যাসে বসানো খাবারের তাপমাত্রা জানতে পারবেন। কোনও কিছু রোস্ট করার সময়ও এটি কাজে আসে। দাম খুব বেশি নয়। হাজার টাকার মধ্যে এবং কিছু ক্ষেত্রে আরও কমে পেয়ে যাবেন।
ওয়াফ্ল মেকার
অতিথিদের ইংলিশ ব্রেকফাস্ট খাওয়াতে চান? তা হলে তো প্যানকেক বা ওয়াফ্ল আবশ্যিক। অনেকটা স্যান্ডউইচ মেকারের মতোই দেখতে। ময়দার গোলা বানিয়ে দিলেই ওয়াফ্ল তৈরি। তবে মিষ্টি ছাড়াও নোনতা ওয়াফ্ল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন অনেকে। দাম দেড় থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।
ইলেকট্রিক পট
ইলেকট্রিক কুকার অনেকের বা়ড়িতেই রয়েছে। ভাত-ইডলি-পোলাও-মোমো অনেক কিছুই বানানো যায়। তবে ইলেকট্রিক পট আরও উন্নত। নানা রকম ভাবে ব্যবহার করা যায় এই যন্ত্র। স্লো কুক করতে পারবেন। মানে সব সরঞ্জাম এতে ঢেলে অফিস চলে গেলের। ৭-৮ ঘণ্টা ধরে ধীরে ধীরে রান্না হবে। অফিস থেকে ফিরে গরমা-গরম খাবার পেয়ে যাবেন। ডিম সিদ্ধ, স্যুপ বানানো, প্রেসার কুক, সতেঁ করা— সব কিছুর জন্য আলাদা সেটিং রয়েছে। দাম পড়বে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। ছা়ড়ের সময়ে আরও কমে পেতে পারেন।
পাস্তা মেকার
বাজার থেকে নানা ধরনের পাস্তা, নুড্ল কেনা তো খুব সহজ। মাস্টারশেফ হতে গেলে নিজেকে তৈরি করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য পাস্তা মেকার খুব উপকারি। শুধু ময়দা নয়, নানা রকম উপকারি আটা বা শস্য দিয়েও পাস্তা বানিয়ে ফেলতে পারেন বাড়িতেই। দাম ২ হাজারের মধ্যে।
আইসক্রিম মেকার
নানা রান্নার প্রতিযোগিতায় দেখা যায় সকলে কত ধরনের উপকরণ দিয়ে আইসক্রিম বানাচ্ছেন। অ্যাভোক্যাডো থেকে শুরু করে লঙ্কার আইসক্রিমও দেখা গিয়েছে। আপনিও সেই ধরনের পরীক্ষা করতে চান? তা হলে আইসক্রিম মেকার কেনা আবশ্যিক। দাম ৩ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে।
এয়ার ফ্রাইয়ার
ডিপ ফ্রাই করে খেতে ভয় পাচ্ছেন। আবার ভাজাভুজিও খেতে ইচ্ছা করছে। তাহলে একটা এয়ার ফ্রাইয়ার কিনতে পারেন। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থেকে সিঙাড়া সবই হবে বিনা তেলে! তবে স্বাস্থ্য ধরে রাখতে খরচ হবে ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি।