কাঠবাদাম শুধু নয়, বাদামের খোসাও কিন্তু সমান উপকারী। প্রতীকী ছবি।
কাঠবাদামের মতো উপকারী খাবার খুব কম রয়েছে। ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বাদাম রোজের খাদ্যতালিকায় রাখেন অনেকে। ভেজানো কাঠাবাদাম খেয়ে অনেকেই দিন শুরু করেন। কাঠবাদাম এমনিতেই ভীষণ উপকারী। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই বাদাম খাওয়ার অভ্যাসে অতিরিক্ত কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে কাঠবাদাম শুধু নয়, বাদামের খোসাও কিন্তু সমান উপকারী। অনেকেই কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে খান। কিংবা রান্নাতেও অনেক সময়ে খোসা ছাড়ানো কাঠবাদামই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু না ফেলে কাঠবাদামের খোসাও বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন।
কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের খোসা?
চাটনি তৈরি করতে
বাদামের খোসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু চাটনি। বাদামের খোসাগুলি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো খোসাগুলি মিহি করে বেটে নিন। এ বার কড়াইয়ে তেল ঢেলে পেঁয়াজ, গোলমরিচ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে একসঙ্গে ভেজে নিন। মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা হলে তাতে বাদামের খোসা বাটা, নুন, তেঁতুলের রস, কারি পাতা দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি চাটনি।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের খোসা। কাঠবাদামের খোসা দিয়ে তৈরি বডি ওয়াশ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না এই উপাদান।
গাছের সার হিসাবে
গাছের পরিচর্যায় সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের খোসা। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিভাইরাল, এবং প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ কাঠবাদামের খোসা গাছের মেটাবোলাইট ও ভিটামিন ই-র পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সার তৈরি করতে প্রথমে বাদামের খোসা ভাল করে শুকিয়ে পিষে নিন। বাদামের খোসা থেকে তৈরি গুঁড়ো গাছের গোড়ায় দিন। গাছ ভাল থাকবে।