Work Culture

কান্নাকাটি করে লাভ নেই, মুখ বুজে ১৮ ঘণ্টা কাজ করে যাও, নবাগত কর্মীদের নিদান কোটিপতি কর্তার

নবাগত কর্মীদের মুখ বুঝে করে যেতে হবে কাজ। কর্মজীবনের প্রথম চার-পাঁচ বছর দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। নেটমাধ্যমে এমনই জানান একটি সাজসজ্জা সংক্রান্ত ব্র্যান্ডের সিইও শান্তনু দেশপণ্ডে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৪:২১
শান্তনু দেশপণ্ডে।

শান্তনু দেশপণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

সদ্য চাকরিতে ঢুকে ‘কান্নাকাটি’ করলে চলবে না। সব কিছু হজম করে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। উন্নতি করতে চাইলে কর্মজীবনের প্রথম চার-পাঁচ বছর দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। নবাগত কর্মচারীদের এমনই বার্তা দিলেন একটি সাজ-সজ্জা সংক্রান্ত ব্র্যান্ডের সিইও শান্তনু দেশপণ্ডে।

Advertisement

নেটমাধ্যমে চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে শান্তনু জানান, ২২ বছর বয়সে যদি কেউ নতুন কাজে যোগ দেন, তবে তাঁকে তৎক্ষণাৎ কাজের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। চার-পাঁচ বছর দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করে যেতে হবে। তিনি আরও জানান, হালের তরুণ-তরুণীরা পেশা ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্যের কথা বলেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলেন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সে সবের কোনও দরকার নেই বলেই মত তাঁর।

শান্তনুর এই কথা সামনে আসতেই নেটাগরিকদের একাংশ তীব্র সমালোচনা শুরু করেন তাঁর। কারও মতে, এই ধরনের মানুষই এখনও সমাজে দাসত্বের বীজ বুনে চলেছেন আর নিজেরা দিন দিন আরও ধনী হয়ে উঠছেন। কারও মতে, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংস্থা কী ভাবে কর্মীদের শোষণ করে চলেছে, শান্তনুর কথাই তার প্রমাণ।

সমালোচনার পরেও অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় শান্তনু। নিজের আগের পোস্টটি কিছুটা বদলে তিনি লিখেছেন, ‘এ মা। ১৮ ঘণ্টা কাজকে অনেকেই ঘৃণা করেন দেখছি। এত আক্ষরিক ভাবে বিষয়টা দেখলে চলবে না। আমি বলতে চেয়েছি, নিজের সেরাটা দেওয়ার পরও আরও কিছু দিতে হবে।’ এর পর হাসির ইমোজি দিয়েছেন তিনি। অবশ্য পাশাপাশি জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর সংস্থার কর্মীদের ‘দুরবস্থা’ নিয়ে চিন্তিত, তাঁরা নির্দ্বিধায় তাঁর কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement