চিয়ার গুঁড়ো না জেল, চুলের জন্য কোনটি ভাল? ছবি:ফ্রিপিক।
বেঁচে থাকাটাই তো আসল কথা নয়। বরং সুস্থ শরীরে বাঁচাটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত, বলেন অনেকে। ইদানীং বহু মানুষই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে খাদ্যতালিকায় ওট্স থেকে কিনোয়া, তিসি থেকে চিয়া বীজ রাখেন।
পুষ্টিগুণের জন্য চিয়া বীজকে অনেকে ‘সুপার ফুড’-ও বলেন। ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর বীজটি শরীরের জন্য ভাল তো বটেই, ইদানীং রূপচর্চাতেও এর কদর বাড়ছে। কেউ মুখে মাখেন চিয়া জেল। কেউ চুলের প্যাক হিসাবে ব্যবহার করেন তা।
কিন্তু চিয়া বীজ ভিজিয়ে মাখলেই কি উপকার, না কি গুঁড়িয়ে মাখলেও চলে?
রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, গুঁড়ো হোক বা ভিজিয়ে নিয়ে জেল হিসাবে মাখা হোক, গুণে তফাত হয় না। তবে কাজে হয়।
চিয়ার গুঁড়ো
মুখের ত্বকে যেমন ধুলো-ময়লার পাশাপাশি মৃত কোষের পরত জমে, চুলের ক্ষেত্রেও তেমনই। শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার ত্বকে ধুলো, ময়লা চলে গেলেও, গরমের দিনে ঘাম, তেল পরিষ্কারের জন্য দরকার হয় বাড়তি কিছুর। চিয়া বীজের গুঁড়ো স্ক্রাবের কাজ করে। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিলিয়ে আলতো হাতে মালিশ করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন যেমন ভাল হয়, তেমনই মাথার ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া রন্ধ্রের মুখ উন্মুক্ত করতেও সহায়ক হয় এটি। চিয়া বীজে থাকা প্রোটিন এবং জ়িঙ্ক চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
চিয়া জেল
চিয়া বীজ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখলে সেটি ফুলে যায়। জেলের মতো হয়ে ওঠে। পুষ্টিবিদদের অনেকেই বলেন, চিয়া বীজ ভিজিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ বেশি মেলে, হজমেও সুবিধা হয়। এই বীজ ভিজিয়ে মাখার প্রধান কারণ হল রুক্ষ চুলে আর্দ্রতা জোগানো। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য যথাযথ আর্দ্রতা প্রয়োজন। বিশেষত যাঁদের চুল ভীষণ রুক্ষ, তাঁদের জন্য চিয়া বীজ ভিজিয়ে মাখাই ভাল। ঘামে মাথার ত্বক চুলকালে, খুশকি বা অন্য কারণে প্রদাহ হলে, চিয়া জেল মাথার ত্বককে আরাম দেবে।
আপনি কী ভাবে মাখবেন?
আপনার চুল কি অতিরিক্ত তৈলাক্ত। শ্যাম্পু করার পরের দিনই তেলতেলে হয়ে যায়। তা হলে সপ্তাহে এক দিন চিয়া বীজের গুঁড়ো স্ক্রাব হিসাবে মাখুন। আর চুল যদি রুক্ষ হয়, ডগা ফাটার সমস্যা থাকে, তা হলে জলে ভিজিয়ে চিয়া জেল ব্যবহার করাই ভাল।
কী ভাবে কোনটি মাখবেন?
গুঁড়ো: ৩-৪ টেবিল চামচ নারকেল তেলে ২ চা-চামচ চিয়ার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা ভিজতে দিন। তার পর হালকা হাতে মাসাজ করুন। মিনিট দশেকই যথেষ্ট। অবশ্যই এর পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
জেল: চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রাখলেই জেলের মতো হয়ে যাবে। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বক এবং চুলে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।