প্রতীকী ছবি।
কাঁঠাল খেতে ভালবাসেন না? কিন্তু কাঁঠালের বীজের কত গুণ জানেন? ঘরোয়া রূপচর্চার সেরা উপাদান হতে পারে কাঁঠালের বীজ। খেতে না ভালবাসলেও কাঁঠালের বীজ দিয়েই করুন চুল ও ত্বকের পরিচর্যা।
কাঁঠালের বীজ চুল ও ত্বকের জন্য কেন উপকারি?
দূষণের কারণে এখন চুল পড়া অনেক বেড়ে গিয়েছে। এমনকি চুল তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্যও হারাচ্ছে। এই ধরনের সমস্যা কমাবে কাঁঠালের বীজ। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং আয়রন। প্রোটিন চুলকে মজবুত রাখে এবং চুল পড়া কমায়। এ ছাড়া ভিটামিন এ মাথার ত্বকের তৈলাক্ত পদার্থ সিবাম তৈরিতে সহায়তা করে। এই ভিটামিন চুলে কোষের বৃদ্ধিও ঘটায়। কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এটি মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়াতে সহায়তা করে। ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার জন্যই কাঁঠালের বীজ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে পারে। ভিটামিন এ সিবামের নিঃসরণের মাধ্যমে ত্বককে আর্দ্র রাখে। আর এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
কাঁঠালের হেয়ার মাস্ক
জলে কাঁঠালের বীজ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। কাঁঠালের বীজ একটু পুরনো হলে জলে না ভিজিয়ে উপরের সাদা খোসাটি ফেলে দিন। এর পরে তা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হয়ে এলে বীজ ও দুধ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মাথার ত্বকে ভাল ভাবে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এ বার শ্যাম্পু করে হাল্কা গরম জল দিয়ে মাস্কটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
বলিরেখা দূর করার মাস্ক
২ টেবিল চামচ কাঁঠালের বীজ বাটা, ১ টেবিল চামচ দুধ, ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার এটা মিনিট কুড়ি মুখে লাগিয়ে রাখুন। হয়ে গেলে হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে বার দুয়েক ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।