Inspirational Story of Shakti Kapoor

কাজ পাওয়ার জন্য কতদূর যেতে পারেন! শক্তি কপূর কী করতেন জানেন? জানালেন শ্রদ্ধা

বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কপূর তাঁর বাবার গল্প শুনিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, বাবাকে তিনি যেমন ভালবাসেন, তেমনই তাঁর কাজের নিষ্ঠা আর কাজ না হওয়া পর্যন্ত পড়ে থাকার মনোভাবকে সম্মানও করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৮

—ফাইল চিত্র।

সকাল থেকে সন্ধে গড়ানো চাকরি। কেউ কেউ তার থেকেও বেশি সময় কাজ করেন। রোজ দিনে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় এক কাজ করতে করতে পছন্দের কাজও একঘেঁয়ে লাগতে পারে। কিংবা স্বীকৃতির অভাব, ভাল কাজ করতে না পারার দুঃখ আনতে পারে হতাশাবোধ। ধীরে ধীরে যা কাজের ইচ্ছেকে নষ্ট করে দেয়। কিন্তু তাতে তো আখেরে ক্ষতি আপনারই। কাজই তো যে কোনও না-বাচক পরিস্থিতিকে নিজর অনুকূলে আনার সেরা উপায়। হতাশা কাটিয়ে ভাল কাজের জন্য নিজেকে অনুপ্রাণিত করবেন কী ভাবে? এ ব্যাপারে বলিউডের এক খলনায়কের চরিত্রাভিনেতা আপনাকে অনুপ্রেরণা দিতে পারেন। তিনি শক্তি কপূর।

Advertisement

শক্তির কন্যা শ্রদ্ধা বলিউড নায়িকা। কিছু দিন আগেই তাঁর অভিনীত ছবি ‘স্ত্রী ২’ দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছে। শ্রদ্ধাই তাঁর বাবার গল্প শুনিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, বাবাকে তিনি যেমন ভালবাসেন, তেমনই তাঁর কাজের জন্য সম্মানও করেন। শ্রদ্ধার কথায়, ‘‘আমার বাবা কোনও বড় ফিল্মি পরিবার থেকে আসেননি। বলিউডে তিনি নিজেকে প্রতিষ্টা করেছিলেন পুরোপুরি নিজের জোরে। নিজের চেষ্টায়। তার জন্য উনি যে ভাবে পরিশ্রম করেছেন, তা সহজ নয়। তার থেকে কাজ না পেয়ে হতাশ হওয়া সহজ।’’

শক্তি ছিলেন দিল্লির মানুষ। সেখান থেকে মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন শুধু নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চেয়ে। শ্রদ্ধা বলেছেন, ‘‘আমার দাদুর একটা পোশাকের দোকান ছিল। দাদু চেয়েছিলেন বাবা ওই ব্যবসা দেখার পাশাপাশি ট্রাভেল এজেন্সির কাজ করুন। কিন্তু বাবা শোনেননি। তিনি অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া করেই মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন।’’

শ্রদ্ধা বলেছেন, ‘‘প্রথমেই কাজ পাননি আমার বাবা। এমনকি, তাঁর অভিনীত ছবি হিট হওয়ার পরেও তাঁকে কাজ পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হয়েছে।’’ কিন্তু শক্তি কখনওই হার মানেননি। শ্রদ্ধা বলেছেন, ‘‘আমি দেখতাম বাবা যে চরিত্রটিতে অভিনয় করতে চান, সেই চরিত্রের মতো সাজ গোজ করে সোজা পরিচালকের বাড়িতে পৌঁছে যেতেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকালেও পরোয়া করতেন না। পরিচালকের কাছ থেকে কাজ আদায় করে তবে ফিরতেন। ওই ভাবেই একের পর এক ছবিতে নিজের কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতেন বাবা। ওই পড়ে থাকা মনোভাব, কাজের প্রতি এতটা নিষ্ঠা শেখার মতো। আমি এখনও সেটা বাবার থেকে শিখি।’’

অর্থাৎ হাল ছাড়া নয়, আরও শক্ত করে ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নৌকা বাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে পারাটাই অনুপ্রেরণা।

আরও পড়ুন
Advertisement