দিল্লি-দেহরাদূন হাইওয়েতে রুরকির কাছে রাস্তার পাশে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে পন্থের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লি থেকে ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঋষভ পন্থ। দিল্লি-দেহরাদূন হাইওয়েতে রুরকির কাছে রাস্তার পাশে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে পন্থের গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী দুর্ঘটনার কিছু পরেই আগুন লেগে যায় তাঁর গাড়িতে। ঋষভের জ্বলন্ত গাড়ির ভিডিয়ো তুলেছেন অনেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মার্সিডিজ়-এর গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। উইকেটরক্ষকের দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে কয়েক মাস আগে শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রির দুর্ঘটনার কথা। তিনিও মার্সিডিজ় সংস্থার একটি বিলাসবহুল গাড়িতে ছিলেন। সেটিও ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। শিল্পপতির মৃত্যু হলেও গাড়িটির বিশেষ কিছু ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ঋষভের ক্ষেত্রে কেন গাড়িতে আগুন ধরে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক সময় তেলের ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই তেলে আগুনের ফুলকি পড়লে আগুন ধরতে পারে গাড়িতে। পাশাপাশি গাড়িতে যে বৈদ্যুতিক তার থাকে সেই তারে শর্ট সার্কিট হয়েও ধরে যেতে পারে আগুন। এমনকি, টায়ার ফেলেও আগুন ধরার আশঙ্কা থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে ঠিক কেন আগুন লাগল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঠিক কেন আগুন লাগল তা বোঝা যাবে তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই।
অন্য দিকে, সাইরাস মিস্ত্রির দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ় গাড়ি থেকে ‘ভেহিকল ডাটা’ সংগ্রহ করেছিল গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মার্সিডিজ়। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ওই সাঙ্কেতিক তথ্যের অর্থ উদ্ধার করে তা বিশ্লেষণ করা হবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়। যে গাড়িটিতে দুর্ঘটনায় সাইরাসের মৃত্যু হয়, তার বাজারদর ৬৮ লক্ষ টাকা। অত্যাধুনিক মানের যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল গাড়িতে। ছিল ৭ টি এয়ারব্যাগ। কিন্তু পিছনে বসা দুই আরোহী সিটবেল্ট পরেননি বলে অনুমান করে পুলিশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতই এয়ারব্যাগ থাকুক, সিটবেল্ট না পরা থাকলে বিপদের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। আচমকা ব্রেক কষলে বা ধাক্কা লাগলে গাড়ি থেমে গেলেও জাড্যের কারণে সামনের দিকে এগিয়ে যায় যাত্রীদের শরীর। এমন সময়ে কোনও যাত্রীর আঘাত লাগলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। ঋষভ নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর তিনি নিজেই উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বাইরে আসেন। তাতে প্রাণরক্ষা হয়েছে তাঁর।