জীবনের ‘সেরা সিদ্ধান্ত’ নিলেন যুবকের স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে মন ভেঙেছিল টেক্সাসের বাসিন্দা এলিস লেসির, তবে সেই স্বামীকেই ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত স্বীকার করলেন মহিলা। চার বছর প্রেম করার পর ২০১৪ সালে ডমিনিক লেসিকে বিয়ে করেন এলিস। দম্পতির ছটি সন্তানও রয়েছে। তবে বছর খানেক আগে থেকেই এলিসা সন্দেহ করেন যে তাঁর স্বামী অন্য কারও প্রেমে পড়েছেন। তবে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রমাণ হাতে ছিল না এলিসের।
স্বামীকে প্রশ্ন করায় প্রথমে ডমিনিক তাঁর পরকীয়ার কথা স্বীকার করতে চাননি। তবে এক দিন তিনি নিজেই এলিসকে জানান যে, এক সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি। ডমিনিক এলিসকে বলেন সেই তরুণীর সঙ্গে নাকি তাঁর আত্মার যোগ রয়েছে, তাঁকে ছাড়া তিনি বাঁচতে পারবেন না। প্রেমিকার প্রেমে মত্ত ডমিনিক সন্তানদের ছেড়ে থাকতেও রাজি হয়ে যায়। বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকার সঙ্গে থাকতে চলে যায় ডমিনিক।
দিন দুয়েক পরেই স্ত্রীকে ফোন করে কান্নাকাটি শুরু করেন ডমিনিক। জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন বলে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান তিনি। প্রেমিকার সঙ্গে দু’দিনও ঘর করতে পারলেন না ডমিনিক। অনেক ভাবনার পর স্বামীকে ক্ষমা করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন এলিস। এলিস বলেন, ‘‘আমি ওকে আর এক বার সুযোগ দিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি বড় বদল। এই ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি মজবুত হয়েছে। আমরা একে অপরকে এখন সব কথাই খোলাখুলি বলতে পারি।’’