প্রত্যাখাত হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা অনেকের মনেই লজ্জা, ভয়, নিজের ব্যর্থতাগুলিকে বড় করে দেখার প্রবণতা বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
অল্প বয়সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখাত হয়ে রাতের পর রাত বালিশ ভেজাননি, এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা। আবার চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বার বার নিরাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়া মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে এই আঘাত সকলের মনে যে একই রকম প্রভাব ফেলে, তা নয়। প্রত্যাখাত হওয়ার মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরে অনেকেই নিজেকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে ফেলেন। এই ভয়ের কারণে পরবর্তী কালে পেশাগত বা ব্যক্তিগত জীবনেও ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে থাকে। মনোবিদেরা বলছেন, এই ধরনের আঘাত এক এক জনের উপর এক এক রকম ভাবে প্রভাব ফেলে। কারণ, সকলের মানসিক স্বাস্থ্য এক রকম নয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘রিজেকশন-সেনসিটিভ ডিসফোরিয়া’ বা ‘আরএসডি’ নামে পরিচিত। সাধারণ ভয় বা ‘ট্রমা’-র থেকে এই ধরনের মানসিক আঘাতের লক্ষণ একটু আলাদা।
অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া
বন্ধু বা আত্মীয়দের করা যে কোনও কথাকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসাবে ধরে নেন অনেকেই। প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা অনেকের মনেই লজ্জা, ভয়, নিজের ব্যর্থতাগুলিকে বড় করে দেখার প্রবণতা বেড়ে যায়।
‘না’ শুনতে ভয়
যে কোনও ক্ষেত্রে অসফল হওয়ার ভয় তাড়া করে বেড়াতে পারে সর্ব ক্ষণ। নতুন কাজ, নতুন অভিজ্ঞতা, এমনকি নতুন সম্পর্ক— সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রবণতাও দেখা যায় এ ধরনের সমস্যা হলে।
নেতিবাচক চিন্তাভাবনা
কোনও কাজে এক বার অসফল হওয়ার পর সারা ক্ষণ নিজের ব্যাপারে খারাপ চিন্তা করার প্রবণতা বেড়ে যেতেই পারে। মনের দিক থেকে তো বটেই, বাহ্যিক ভাবেও নিজের চেহারা নিয়ে কারও মনে হীনন্মন্যতা দেখা দিতেই পারে।
‘প্রেম’ এড়িয়ে চলা
প্রেমে আঘাত পাওয়ার পর আর সেই পথে পা রাখার কথা ভুলেও মাথায় আনেন না। কারও সঙ্গে কথা বলে সাময়িক ভাল লাগা থাকলেও এর চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠতা সাধারণত এড়িয়ে চলেন ‘ট্রমা’ আক্রান্তেরা।
অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া
যে কোনও সাধারণ জিনিস, অন্য যুগলদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত সহ্য করতে না পারার মতো লক্ষণও দেখা যায় অনেকের মধ্যে। এ ছাড়া অল্পেতে রেগে যাওয়া, দুঃখে ভেঙে পড়া, সামান্য কোনও বিষয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া— এ সবই মানসিক আঘাতের লক্ষণ হতে পারে।