Children learn from pet care

পোষ্যের দায়িত্ব নিতে শিখলে জীবনের কোন পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পাবে সন্তান, বদল আসবে স্বভাবেও

পোষ্যের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠলে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পাবে শিশুরা। ছোট থেকেই যদি পোষ্যের সান্নিধ্য পায়, তা হলে কী কী শিখবে খুদে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৬
These valuable life lessons children learn from taking care of their pets

পোষ্যের দায়িত্ব নিতে শিখলে অনেক কিছু শিখবে খুদে, কী কী জানেন? ছবি: ফ্রিপিক।

পোষ্যের সঙ্গে সন্তানের সখ্য গড়ে উঠেছে তো? কেবল সময় কাটানো নয়, পোষ্যের সঙ্গ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে খুদেও। ২০১৭ সালে ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’র একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, পোষ্যের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠলে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পাবে শিশুরা। ছোট থেকেই যদি পোষ্যের সান্নিধ্য পায়, তা হলে দায়িত্ববোধ, স্বাধীন চিন্তাভাবনা তৈরি হবে তাদের মধ্যে। নিজের থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হবে।

Advertisement

দায়িত্ব নিতে শেখা

বাড়িতে কুকুর বা বিড়াল যা-ই পুষুন না কেন, তার দায়িত্ব নিতে শেখান খুদেকে। সঠিক সময়ে তাদের খাবার দেওয়া, ওদের সময়ান্তরে জল খাওয়ানো, পোষ্যের বিছানা করে দেওয়া ইত্যাদি ছোট ছোট দায়িত্ব নিতে শিখে গেলে খুদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা যেমন তৈরি হবে, তেমনই দায়িত্ববোধও বাড়বে। কী ভাবে অন্যের প্রতি যত্নবান হতে হয়, তার শিক্ষা ছোট থেকেই পেয়ে যাবে খুদে।

কথোপকথন

অনেক শিশুই মিশুকে নয়। সকলের সামনে যেতে ভয় পায়। শিশুর কম কথা বলা, মিশতে না পারার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এখন বহু বাড়িতেই খুদের সঙ্গে কথা বলার লোকের অভাব। মা-বাবারা এতটা ব্যস্ত থাকেন যে, ঠিক মতো কথা বলতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে যদি পোষ্যের সঙ্গ পায়, তা হলে আড়ষ্ট ভাব কমে যাবে। মনোবিদেরা বলেন, পোষ্যের সঙ্গে খেলাধুলা করা, ওদের মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করতে করতেই শিশুর স্বভাবে অনেক বদল আসবে। অন্যের সঙ্গে কথা বলা, বন্ধুত্ব পাতানোর উৎসাহও তৈরি হবে।

ধৈর্য

অনেক বাবা-মা বলেন, সন্তানের ধৈর্য কম। সব বিষয়েই অমনোযোগী। দুরন্তপনা বেড়েই চলেছে। এমন হলে খুদেকে পোষ্যের সান্নিধ্য দিয়ে দেখতে পারেন। ওদের যত্ন নেওয়ার আগ্রহ তৈরি হলে ধৈর্য স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে, একাগ্রতাও তৈরি হবে। অনেক শিশুই নিজে থেকে স্নান করতে বা খেতে চায় না। কিন্তু পোষ্যের দায়িত্ব নিতে শিখে গেলে শিশু নিজের যত্ন নিতেও শিখবে।

বিশ্বাস ও ভরসা

পোষ্যই হয়ে উঠতে পারে শিশুর একেবারে আদর্শ বন্ধু। ছোট পরিবার, যেখানে শিশুরা একা বড় হয়, সেখানে পোষ্য তাদের একঘেয়েমি কাটিয়ে দিতে পারে। পোষ্যের আনুগত্য দেখেই খুদে শিখবে কী ভাবে বিশ্বাস ও ভরসা রাখা যায়।

শরীরচর্চার অভ্যাস

পোষ্য থাকার আরও একটি সুবিধা হল, শিশুর মোবাইল বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন গ্যাজেটের প্রতি আগ্রহ কমবে। পোষ্য যদি খেলার সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে, তা হলে তাদের পরিচর্যাতেই সময় কাটাবে খুদে। পাশাপাশি, পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরোনো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে করতে শরীরচর্চার অভ্যাসও তৈরি হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন