Relationship

পুরুষ না কি মহিলা, কারা প্রথম কাছে এসে ভালবাসার কথা বলেন

মুখ ফুটে ভালবাসার কথা বলা সহজ নয়। তবুও বলতে তো হয়। সেই কঠিন কাজটি কারা প্রথম এগোন? পুরুষ না মহিলা? কী বলছে গবেষণা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৬
Symbolic Image.

কে প্রথম কাছে এসেছে? ছবি:সংগৃহীত।

কে প্রথম কাছে এসেছে? বিয়ের পরেও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেন অনেকেই। কর্তা আগে এগিয়েছেন না কি গিন্নিই প্রথম মনের কথা খোলসা করছেন, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে একটা চাপা বিতর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু কেউই মুখে ফুটে স্বীকার করেন না যে, প্রেমের প্রস্তাব প্রথম কার কাছ থেকে এসেছিল। প্রেমিক যুগল কিংবা দম্পতিরা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও, গবেষণা কিন্তু বলছে অধিকাংশ সময়ে ছেলেরাই মনের কথা আগে প্রকাশ করেন। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘স্যাজ জার্নাল অফ সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপ’ নামক একটি পত্রিকায়। গবেষণা জানাচ্ছে, ভালবাসি, এই কথাটি সাধারণত প্রথম জানান ছেলেরাই।

Advertisement

গবেষণাটি হয়েছিল অনলাইনে। অংশ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলোম্বিয়া, ফ্রান্স, পোল্যান্ড এবং লন্ডনের ৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক। সকলকে আলাদা আলাদা কিছু প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছিল। উত্তরপত্র ফেরত আসার পর এবং সকলের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ দেশে পুরুষেরাই প্রথম ভালবাসার পথে হেঁটেছেন। শুধু তা-ই নয়, উল্টো দিকের মানুষটিকে নিজের করে পাওয়ার জন্য পরিশ্রমও করেছেন প্রচুর।

গবেষণায় উঠে এসেছে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য। কাউকে ভাল লাগার ৬৯ দিনের মাথায় পুরুষেরা মনের কথা জানিয়ে দেন। সেখানে মহিলারা ৭৭ দিন পেরিয়ে গিয়েও বুঝে উঠতে পারেন না যে, তিনি আদৌ পছন্দ করেন কি না। তবে পুরুষেরা প্রথমেই সরাসরি আক্ষরিক ভাবে ভালবাসার কথা জানান না। কাব্য করে কিংবা অন্য কোনও রূপকের সাহায্য মনের ভাব প্রকাশ করেন। কিন্তু পছন্দের মানুষটিকে ‘আই লাভ ইউ’ বলতে বেশি সময়ও নেন না। সম্পর্ক শুরুর ১০৭ দিনের মাথায় লিখে হোক কিংবা ফোনে অথবা সামনাসামনি ভালবাসার কথা জানিয়ে দেন।

পূর্বের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, মনের কথা চেপে না রাখে তা দ্রুত বলে দেওয়ায় বেশি বিশ্বাসী আমেরিকার পুরুষেরা। কেউ যদি মনে আলোড়ন তোলেন, কারও কথা যদি শয়নে-স্বপনে-জাগরণে বার বার মনে পড়ে, কাউকে চোখের দেখা দেখার জন্য যদি উতলা হয় মন, তা হলে আর দেরি করেন না তাঁরা। বলে দেন ভালবাসার কথা। অর্থাৎ, পেটে খিদে মুখে লাজে একেবারেই বিশ্বাস করে না আমেরিকার পুরুষমহল।

আরও পড়ুন
Advertisement