পোষ্য থাকলে বাড়িতে কোন ৫টি গাছ ভুলেও রাখা যাবে না? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির আশেপাশে রোজ একটা একটা করে গাছের সংখ্যা কমছে। গাছের বদলে রোজ উঠছে নতুন নতুন বিল্ডিং। প্রকৃতিপ্রেমীরা তাই ঘরের ভিতরেই নানা রকম গাছ রাখছেন। অনেকে আবার অন্দরসজ্জার জন্য গাছ ব্যবহার করছেন। বেশির ভাগ গাছই ঘরে রাখা ভাল। বাতাস পরিশুদ্ধ করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে বেশির ভাগ গাছ সাহায্য করে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, বাড়ির পোষ্যদের জন্য কিছু গাছ বেশ ক্ষতিকর। কিছু গাছের কোনও অংশ যদি আপনার অজান্তেই পোষ্যের শরীরে চলে যায়, তা হলে তার প্রভাব মারাত্মক হতেই পারে। তাই বাড়িতে পোষ্য থাকলে গাছ কেনার আগে কোন কোন বিষয় সতর্ক থাকবেন, রইল হদিস।
১. অ্যালো ভেরা: ত্বক এবং পেটের জন্য দারুণ উপকারী অ্যালো ভেরা গাছ। কিন্তু সেই উপকার শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই। বিড়াল-কুকুরদের জন্য এই গাছ অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। অ্যালো ভেরা গাছে স্যাপোনিন ও গ্লাইকোসাইড নামক যৌগ থাকে যা পোষ্যদের শরীরে গিয়ে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
২. পিস লিলি: লিলি অনেক জাতের হয়। সব রকম লিলি কুকুর-বিড়ালদের জন্য ক্ষতিকর না হলেও কিছু পিস লিলি কুকুরদের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তেমনই ইস্টার লিলি বিড়ালদের পক্ষে বেশ ক্ষতিকর। সময়ে চিকিৎসা না করলে বিড়ালের কিডনি এবং লিভার নষ্ট করে দিতে পারে এই জাতের ফুলের গাছ।
৩. আইভি: পয়জন আইভি গাছের কথা সকলেই জানেন। ভুলবশত এই গাছের কোনও অংশ কুকুরের শরীরে গেলে তাদের পেটের সমস্যা হতে পারে। সাধারণ আইভিও কুকুরদের গায়ে র্যাশ তৈরি করতে পারে। এমনকি, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা সৃষ্টিও হতে পারে।
৪. জেড: জেড গাছ দেখতে খুবই সুন্দর। ঘরে অনেকেই সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু কুকুরদের পেটে গলে তাদের বমি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি কুকুরদের মধ্যে অবসাদও ডেকে আনতে পারে এই গাছ।
৫. মানি প্ল্যান্ট: ঘরে মানি প্ল্যান্ট রাখার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। যে হেতু এই গাছের পরিচর্যা তেমন কঠিন নয়, তাই বেশির ভাগ মানুষ ঘরের নানা কোণে এই লতানো গাছ লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু কুকুর-বিড়ালদের জন্য এই গাছ যথেষ্ট ক্ষতিকর। মুখে সমস্যা হয়, ঢোক গিলতে অসুবিধা হয় এবং বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।