Engagement Ring

বাগ্‌দানে বিপত্তি! আংটিবদলের আগেই তা হারিয়ে গেল বালিতে, কী ঘটল শেষমেশ?

বাগ্‌দান অনুষ্ঠানে যদি আংটি হারিয়ে যায়, তার চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। সম্প্রতি সাই নামে এক তরুণী তাঁর নিজের বাগ্‌দান অনুষ্ঠানের তেমনই এক ‘করুণ’ কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৯
বাগ্‌দানের ‘করুণ’ কাহিনি।

বাগ্‌দানের ‘করুণ’ কাহিনি। প্রতীকী ছবিঃ

আংটিবদলের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকেরই বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। এ দিনটি একেবারে আলাদা করে উদ্‌যাপন করেন। আংটিবদল মানেই এক ছাদের নীচে একসঙ্গে যাপনের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু এমন দিনে যদি আংটি হারিয়ে যায়, তার চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। সম্প্রতি সাই নামে এক তরুণী তাঁর নিজের বাগ্‌দান অনুষ্ঠানের তেমনই এক ‘করুণ’ কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।

সমুদ্রসৈকতে বাগ্‌দান অনুষ্ঠানটি চলছিল। মোমবাতি আর ভালবাসার চিহ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছিল সমুদ্রতট। বালির উপর হাঁটু মু়ড়ে আংটি পরাচ্ছিলেন পাত্র। সমুদ্রের হাওয়া, হালকা গান, এমন প্রেমের আবহে শুরু হয় আংটি পরানোর পর্ব। পাত্র হাঁটু মুড়ে আংটিটি বাড়িয়ে দিয়েছেন পাত্রীর দিকে। সাইও তাঁর হাত বাড়াতে যাবেন সে দিকে। হঠাৎই আংটিটি হাত থেকে বালির উপর পড়ে যায়। আলো-আঁধারি সমুদ্রতটে শুরু হয় আংটি খোঁজা। বালির মধ্যে থেকে ছোট আংটি খুঁজে পাওয়া মুখের কথা নয়। পাত্র এবং পাত্রী দু’জনেই ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছেন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ‘তল্লাশি’ চালানোর পর বালির মধ্যে মিশে থাকা আংটিটি অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাগ্‌দান পর্ব সম্পন্ন হয়।

Advertisement

আংটি হাত থেকে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর মনের মধ্যে কী কী চলছিল, তা একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োর মাধ্যমে জানিয়েছেন সাই। তিনি বলেন, ‘‘আমার হাত-পা পুরো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম আংটি বোধহয় খুঁজেই পাওয়া যাবে না। তেমন হলে কী যে হত, কে জানে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে মনের অবস্থা কী হয় তা শুধু আমিই জানি। সবাইকে বলব, আংটি পরানোর সময় একটু সতর্ক থাকতে। উদ্বেগ দিয়ে নতুন জীবনের শুরু হওয়া ঠিক নয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement