প্রতীকী ছবি।
এই যুগে দু’জন মানুষের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠতে অনেক ক্ষেত্রেই বেশি সময় লাগে না। কিন্তু সম্পর্কে তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সঙ্গে তা টিকিয়ে রাখাও নতুন করে শিখতে হয়। সময়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পাশাপাশি একে অপরের ভাল-খারাপ সব কিছু এক এক করে সামনে আসে। তখন নিজেদের মধ্যে ভাব প্রকাশের জায়গা না থাকলে অনেক সময়েই সম্পর্কে সমস্যা হতে পারে। ছোট ছোট ভুলগুলি হঠাৎই বড় চেহারা নিয়ে নেয়। সম্পর্কে থাকা দু’জন যদি একে অপরের কাছে সম্পূর্ণ রূপে সৎ না থাকতে পারে, তাহলে সেই সম্পর্কে চিড় ধরা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্রে কিছু কিছু প্রবণতা সম্পর্কের জন্য অসুস্থতার চিহ্ন হতে পারে। সেই রকম কিছু প্রবণতাই এখানে দেওয়া রইল—
একে অপরকে দোষ দেওয়া
কোনও রকম সমস্যার মুখোমুখি হলে অন্য জনের দিকে দোষ ঠেলে দেওয়া অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনও কিছু খারাপ লাগলে দোষারোপ না করে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। প্রত্যেক মানুষ আরেক জনের থেকে আলাদা। আপনার যেটা ঠিক বা ভুল বলে মনে হয়, তার সঙ্গে যে আপনার সঙ্গী সম্পূর্ণ ভাবে একমত হবেন, এমন না-ও হতে পারে।
হিসাব রাখা
নিজের ভালবাসার মানুষের জন্য কেউ কিছু করলে, সেটা ঠিক হিসাবের খাতায় পড়া উচিত নয়। এর অন্যথা হলে তা স্বার্থপরতার পরিচয়। সম্পর্কের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতার স্থান না থাকাই শ্রেয়।
পুরনো খারাপ লাগাকে ব্যবহার করা
সকলেরই কিছু পুরনো খারাপ লাগা থাকে, যা তাঁরা সচরাচর কাউকে বলতে চান না। যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে তেমন কোনও অত্যন্ত ব্যক্তিগত কোনও কথা বলে থাকেন, তাহলে সেটা তার আপনার উপর আস্থার পরিচয়। কোনও রকম বচসা বা ঝগড়ার সময়ে, তাঁর সেই পুরনো ক্ষতর কথা তুলে এনে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা কখনওই উচিত নয়। এতে আপনার সঙ্গে সেই মানুষটির ভরসার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে উদাসীন হওয়া
একটি সম্পর্কের মধ্যে বার বার যদি আপনি ‘কিছু যায় আসে না’ গোছের ব্যবহার করেন, তার প্রভাব আপনার সম্পর্কের উপর পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই ধরনের ব্যবহার যে কোনও মানুষের আত্মমর্যাদার স্খলন ঘটাতে পারে। যার জেরে আপনার সঙ্গীর মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়।