বন্ধুকে বিয়েতে আসতে বারণ করায় রেগে গেলেন কনে। প্রতীকী ছবি।
প্রিয় বন্ধু বহুগামী সম্পর্কে থাকায় তাঁকে বিয়েতে নিমন্ত্রণ করতে চাননি হবু বর। সেই রাগে বিয়ে বাতিল করলেন তরুণী।
সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা অ্যাঞ্জেলিনা এবং মারিসা ছোটবেলা থেকেই অভিন্নহৃদয় বন্ধু। দু’জনের একই স্কুল এবং কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এক জনকে ছাড়া অন্য জনের চলে না। একে অপরের জীবনের সব কথা ভাগ করে নেন তাঁরা। দু’জনে একসঙ্গে ঘুরতে যান। এমনকি, মাঝেমাঝে দু’জনে একই মানুষের প্রেমেও পড়ে যান।
হঠাৎই এক দিন অ্যাঞ্জেলিনা ঠিক করেন তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক এ বার দাম্পত্যে রূপান্তরিত হোক। মারিসাকেও একই আসরে বিয়ে করে নেওয়ার কথা বলেন অ্যাঞ্জেলিনা। কিন্তু মারিসা একসঙ্গে তিন জনকে মন দিয়েছিলেন। ফলে জীবনসঙ্গী হিসাবে কাকে বেছে নেবেন, তা নিয়ে নিজেই ধোঁয়াশায় ছিলেন। তাই একই যাত্রায় পৃথক ফল হয়। শুধু অ্যাঞ্জেলিনার বিয়ের তোড়জোর শুরু হয়। বিয়ের অর্ধেক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মারিসা। সবই ঠিক চলছিল। অ্যাঞ্জেলিনার হবু বর ওয়াটস হঠাৎ দাবি করেন, বিয়ের দিন মারিসাকে একাই আসতে হবে। তিন জন প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। কারণ তাঁদের বাড়ির সকলেই খানিক প্রাচীনপন্থী। বাড়ির নতুন বৌয়ের বান্ধবীর তিন জন প্রেমিককে দেখলে খারাপ ধারণা হতে পারে। তাই বিয়েতে মারিসাকে একাই আসতে হবে। এ কথা শুনে যারপরনাই রেগে যান মারিসা। মারিসা সর্বত্র তিন জনকে সঙ্গে করেই নিয়ে যান। মারিসার প্রেমিকদেরও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। সেখানে নিজের প্রিয় বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার এমন শর্ত শুনে অবাক হন তিনি। সঙ্গীদের ছাড়া তিনি একা যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। অ্যাঞ্জেলিনাও ওয়াটসের এই শর্ত মেনে নিতে চাননি। তাই ঠিক করেন মারিসা যদি না আসতে পারে, তিনিও এই বিয়ে করবেন না। সে কথা ওয়াটসকে জানিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন তিনি।