Three Wives

‘সবচেয়ে রোম্যান্টিক স্বামী’, বৃদ্ধের মৃত্যুর পর কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ তিন স্ত্রীর

চেয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর পরও যেন চিরাচরিত বিধি অনুযায়ী অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার নিয়ম পালন করা না হয়। স্টিফেনের মৃত্যুর পর অভিনব উপায়ে সেই ইচ্ছার মর্যাদা দিল তিন স্ত্রী, পুত্র, ভাই, নাতি-নাতনিরা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ব্রিসবেন শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:২০
স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের পাতায় স্টিফেনের প্রতি নিজেদের অনুভূতি তুলে ধরল তাঁর পরিবার।

স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের পাতায় স্টিফেনের প্রতি নিজেদের অনুভূতি তুলে ধরল তাঁর পরিবার। ছবি- সংগৃহীত

৭৫ বছর বয়সি স্টিফেন মরিস। সারা জীবন হাসি-মজায় কাটিয়েছেন। বিয়ে করেছেন তিন জনকে। ছ’সন্তানের জনক। তিন স্ত্রী আর ছয় সন্তানকে নিয়ে উপভোগ করেছেন সংসারজীবন। তিনি চেয়েছিলেন, মৃত্যুর পরও যেন চিরাচরিত বিধি অনুযায়ী অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার নিয়ম পালন করা না হয়। মৃত্যুর আগে নিজে সেই ইচ্ছার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারকে। স্টিফেনের মৃত্যুর পর তাঁর ইচ্ছার মর্যাদা দিল পরিবার। সব রকম নিয়মকানুন পালন থেকে দূরে থাকল তাঁরা।

Advertisement

শাস্ত্রমতে নিয়ম না মানলেও এক অভিনব উপায়ে স্টিফেনের উদ্দেশে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সকলে। তিনি বেঁচে থাকতে কিছু কথা কেউ তাঁকে বলে উঠতে পারেননি। মারা যাওয়ার পর সেই আফসোস থেকে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের পাতায় স্টিফেনের প্রতি নিজেদের অনুভূতি তুলে ধরল তাঁর পরিবার।

কাগজের একটি বড় অংশ জুড়ে সুরার গ্লাস হাতে স্টিফেনের একটি ছবি। ছবির নীচে কিছু পঙ্‌ক্তি লেখা। সেখানে স্টিফেনর প্রতি তাঁদের ভালবাসার কথা ব্যক্ত করছেন সকলে। স্টিফেনের তিন স্ত্রী তাঁকে সবচেয়ে রোম্যান্টিক স্বামী বলে উল্লেখ করছেন। ছ’জন পুত্রের কাছে স্টিফেন দায়িত্বশীল বাবা। ভাইদের কাছে তিনি সবচেয়ে যত্নশীল দাদা। আর নাতি-নাতনিদের কাছে তিনি স্নেহশীল দাদু। তাঁর অনুপস্থিতি সকলকে কতটা কষ্ট দিচ্ছে লেখা রয়েছে সে কথাও।

আরও পড়ুন
Advertisement