স্ত্রী অ্যালমেডার সঙ্গে গেরি হার্ডউইক। ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুর মাকে প্রথম বার দেখেই তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ১৭ বছর যুবক গেরি হার্ডউইক। বন্ধুর মায়ের প্রেমে মগ্ন হয়ে তাঁকে বিয়ে করে বসেন আমেরিকার বাসিন্দা গেরি। গেরির স্ত্রী অ্যালমেডার তখন বয়স ৭১ বছর। বিয়ের ন’বছর কেটে গিয়েছে। সম্প্রতি স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন গেরি, যা ঘিরে বেশ হইচই শুরু হয়েছে। এই দম্পতি তাঁদের রোজের জীবনের বিভিন্ন রকম ভিডিয়ো বানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। জন্মদিনের পোস্টে গেরি অ্যালমেডাকে বেবিডল ও রানি বলে উল্লেখ করেছেন। বৃদ্ধার প্রতি তরুণের এত ভালবাসা সমাজমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছে।
পোস্টে গেরি বলেছেন, এমন বৌ পেয়ে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যমান মনে করেন। অ্যালমেডা তাঁকে সব রকম সুখ দেন। গেরি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘তুমি পৃথিবীর সমস্ত সুখ পাওয়ার যোগ্য। আমি আমার সবটা দিয়ে তোমাকে খুশি রাখার চেষ্টা করব। তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।
এখন গেরির বয়স ২৬ বছর আর অ্যালমেডার বয়স ৮০। বিবাহিত জীবনে তাঁরা বেশ সুখী। গেরি বলেন, ‘‘অনেকেই আমাদের যৌনজীবনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বিয়ের রাতেই প্রথম বার আমি অ্যালমিডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হই। সে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। আমাদের যৌনজীবন নিয়ে আমরা বেশ সুখী।’’ বিয়ের এত বছর পরেও অ্যালমেডার ছেলে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। গেরির সঙ্গে এখনও কথা বলেন না তাঁর বন্ধু, যিনি এখন তাঁর ছেলেও বটে। ছ’জন নাতিনাতনিও রয়েছে দম্পতির।