কাঁচা পেঁয়াজে এমনকি আছে যা রান্না করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের সঙ্গে স্যালাড চাই-ই চাই। কিন্তু সেখানে থাকবে না কাঁচা পেঁয়াজ। অনেকেই স্যালাডে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন না তার ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য। অনেকে মনে করেন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে নাকি হজমের সমস্যা হয়। আবার অনেকের ধারণা, কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শ্লেষ্মাও বেড়ে যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন অন্য কথা। রান্না করলে অনেক সময়েই নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা পেঁয়াজের গুণাগুণ। তাই পেঁয়াজের অস্বস্তিকর গন্ধটুকু বাদ দিলে, শরীরের জন্য তার উপকারের না কি শেষ নেই।
কাঁচা পেঁয়াজে এমনকি আছে যা রান্না করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে?
১) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট
ত্বক, চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা— অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রায় সর্ব ঘটেই দেওয়ার মতো একটি উপাদান। কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে কোয়েরসেটিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। রান্না করার সময়ে পেঁয়াজ ভাজলে বা কষালে এই উপাদানটি একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
২) হজমে সহায়ক
কাঁচা পেঁয়াজের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। তাই কাঁচা অবস্থায় খেলে তা কখনওই পেট ভার বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা তৈরি করে না।
৩) ক্যানসার প্রতিরোধী
কাঁচা পেঁয়াজে সালফারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তা যেমন চুলের ফলিকল মজবুত করে, তেমনই বিভিন্ন মারণরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সালফার মিশ্রিত উপাদানগুলি ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
৪) প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে
ফাইবার এবং প্রি-বায়োটিকের উৎস পেঁয়াজ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাতাসে বাড়তে থাকা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে ভিতর থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হওয়া প্রয়োজন।
৫) শর্করা নিয়ন্ত্রণে
কাঁচা পেঁয়াজে থাকা বেশ কিছু যৌগ রক্তে শর্করার উপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। অগ্ন্যাশয়, লিভার এবং অন্ত্র থেকে নিঃসৃত উৎসেচকগুলির সঙ্গে বিক্রিয়া করে কাঁচা পেঁয়াজে থাকা যৌগগুলি। যার প্রভাবে রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়।