প্রতীকী ছবি।
করোনা আমাদের চিরাচরিত জীবনযাত্রার ধরন এক লহমায় বদলে দিয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের মধ্যেও সব সময়েই এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও সংশয় এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। মানসিক চাপ ও উদ্বেগও এই সব কারণে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং কাজের প্রতি মনোসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত ধ্যান করার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদেরা। ধ্যান করার সময়ে যদি ঠিকমতো মন দিতে না পারেন, তা হলে তো মুশকিল। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ধ্যান করার উপযুক্ত পরিবেশ।
১) প্রথমেই ধ্যান করার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গার দরকার। বাড়ির যে জায়গায় সবচেয়ে কম কোলাহল হয় এবং বাইরের শব্দ তেমন পৌঁছয় না, সেই রকম একটি জায়গা আগে বাছুন। এর আশপাশে টিভি বা কাজের জিনিসপত্র না থাকলেই ভাল। জায়গা বেশি হলে এই রকম পুরো একটি ঘরই বাছতে পারেন। না হলে ঘরের এরকম একটি কোণ বাছুন।
২) ধ্যান করার জায়গাটি যদি অপরিচ্ছন্ন কিংবা প্রচুর আসবাবে ঠাসা হয়, তা হলে কিন্তু মন বসাতে সমস্যা হবে। নিয়মিত জায়গাটি পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ও অতিরিক্ত আসবাব রাখবেন না। একটি সরু ডিভান রাখতে পারেন ঘরের মেঝেতে। আর দেওয়ালের তাকে কিছু ছোট গাছ ও বই রাখা যেতে পারে। জায়গাটি যত বেশি খোলামেলা হবে, তত বেশি মানসিক শান্তি পাবেন।
৩) অনেকেই ঘরে ডিভান বা ওই জাতীয় কিছু রাখেন না। এ রকম হলে মেঝেতে একটি কার্পেট ও কয়েকটি ছোট কুশন রাখতে পারেন। কার্পেটটিতে বসে অনায়াসে শ্বাসের কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে। ব্যায়াম বা ধ্যান হয়ে গেলে কার্পেটটি গুটিয়ে রাখতে চাইলে গুটিয়ে রাখতেও পারেন।
৪) ধ্যান করার সময়ে উপযুক্ত পারিপার্শ্বিকতা তৈরি করাও কিন্তু বড় ব্যাপার। আশপাশে কী দেখছেন বা কী ধরনের শব্দ-গন্ধ আসছে সেটার উপরও নির্ভর করে ধ্যানের প্রতি মনোসংযোগ কতখানি গভীর হবে। ছোট ছোট টবে গাছ রাখতে পারেন আশপাশে, অনেকে জানলাতে ড্রিমক্যাচারও ঝুলিয়ে রাখেন। এ ছাড়া পুজোর সময়ে যে রকম মোমবাতি ও ধূপ জ্বালান, সেই রকমও জ্বালাতে পারেন। সেই সঙ্গে হাল্কা কোনও ধ্যান করার উপযুক্ত মিউজিক চালাতে পারেন, এতে মনোযোগ বাড়বে। পরিবেশটিও হয়ে উঠবে ধ্যান করার পক্ষে আদর্শ।