হজমের সমস্যার দাওয়াই যখন ভাতের ফ্যান। ছবি: সংগৃহীত।
রূপচর্চায় ইদানীং কোরিয়ান প্রসাধনীর বেশ রমরমা। এই প্রসাধনীর অন্যতম একটি উপাদান হল চাল ভেজানো জল, ভাতের ফ্যান। শরীরে বল পাওয়ার জন্য গেরস্ত বাড়িতে ঘি দিয়ে ফ্যান-ভাত খাওয়ার চল থাকলেও চাল ভেজানো জল, ফ্যান যে ত্বক বা চুলের এত উপকারে লাগে, তা বোধ হয় কোরিয়ান রূপটানের জোয়ার আসার আগে পর্যন্ত কেউ জানতেন না। জামাকাপড় কাচার পর তাতে মাড় দেওয়ার জন্যও ভাতের ফ্যান ব্যবহার করা হয় অনেক বাড়িতে। তবে শুধু রূপচর্চা নয়, শরীরের নানা সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসাবে, এমনকি ঘরোয়া নানা প্রয়োজনেও ভাতের ফ্যান কাজে লাগাতে পারেন।
গাছের যত্নে
ফ্যান ফেলতে হলে তা গাছের গোড়ায় ফেলুন। প্রাকৃতিক সার হিসাবে ফ্যানের জুড়ি মেলা ভার। এতে গাছ দ্রুত বেড়ে উঠবে।
চুলের সৌন্দর্যে
ভাতের ফ্যান প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে দারুণ কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর চুলে মেখে নিতে পারেন ফ্যান। এতে চুল ঝরা কমবে।
পেটের সমস্যায়
ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন অবশ্যই। তবে এই সময় ফ্যানের সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে খেলেও উপশম হয়। ভাতের ফ্যানে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডিহাইড্রেশনের সমস্যায়
গরমের মরসুমে শরীররে নানা কারণেই জলের ঘাটতি হয়ে যেতে পারে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান। ঘামের মধ্যে দিয়ে যে পরিমাণ খনিজ শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়, সেই ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারে ভাতের ফ্যানে থাকা খনিজ।
রান্নার কাজে
খিচু়ড়ির সঙ্গে বেগুনি হোক কিংবা চিকেন পকোড়া, ভাজার পর বেশি ক্ষণ মুচমুচে থাকে না। জল নয়, বেসন বা অ্যারারুটের মিশ্রণ তৈরি করুন ভাতের ফ্যান দিয়ে। সমস্যার সমাধান হবে সহজেই। রান্নার সময় কোনও ঝোল ঘন করতে কর্নফ্লাওয়ারের বদলে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করতেই পারেন।