Tongue

Stammering: ঘরোয়া উপায়ে জিভের জড়তা কাটাবেন কী করে?

না। কারও কারও বেশি বয়সেও জিভের জড়তা কাটতে চায় না। তবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে এই সমস্যা কমানো সম্ভব।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৩৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অনেক শিশুরই জিভের জড়তা থাকে। পরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্যা কমে যায়। কিন্তু সকলের তা হয় না। কারও কারও বেশি বয়সেও জিভের জড়তা কাটতে চায় না। তবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে এই সমস্যা কমানো সম্ভব।

তবে গোড়াতেই জেনে নেওয়া উচিত জিভের জড়তার ধরনগুলি।

• ভাষার উপর দখল কম থাকলে অনেক শিশুর এই সমস্যা হয়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি কমে যায়।

Advertisement

• মস্তিষ্ক এবং জিভের মধ্যে সংযোগকারী স্নায়ুর সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে।

• ভাবনাচিন্তার ক্ষেত্রে নানা ধরনের জটিলতাও জিভের জড়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

কেন জিভের জড়তা দেখা দেয়, তা নিয়ে চিকিৎসকদের নানা মতামত রয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যের এই সমস্যা থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মের কারও তা হতে পারে। ছোটবেলায় পুষ্টিকর খাবারের অভাবে স্নায়ুর ঠিক মতো বিকাশ না হলেও এটি হতে পারে। মস্তিষ্কে আঘাতের ফলের জিভের জড়তার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কী ভাবে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা কমাবেন?

জিভের জড়তা কাটানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এটি কমানো যায়।

• বড় বড় শ্বাস নিয়ে খুব ধীরে ধীরে কথা বললে এই সমস্যা কমতে পারে।

• নিয়মিত গান গাইলেও জিভের জড়তা অনেকটা কেটে যায়। কোনও শিশুর এই সমস্যা থাকলে, তাকে গান শেখাতে পারেন। সমস্যা কমবে।

• এই ধরনের সমস্যা কমাতে জোরে জোরে শব্দ করে পড়া ভাল। বই, সংবাদপত্র বা পত্রপত্রিকা— হাতের কাছে যাই থাকুক না কেন, নিয়মিত সেগুলি জোরে জোরে পড়লে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

• প্রাণায়ম এবং সিংহাসন নামের যোগাসন দু’টি করলে এই সমস্যা কমতে পারে।

এগুলি সবই ঘরোয়া উপায়। তবে সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তিনি যেমন বলবেন, সে ভাবে চললে কমতে পারে জিভের জড়তা।

Advertisement
আরও পড়ুন