অষ্টাঙ্গ যোগের অংশ, দুর্বাসাসনের উপকার অনেক। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
এক পায়ে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখা সহজ নয়। অথচ যদি অভ্যাস করা যায়, তা হলে শরীরের ভারসাম্য তো রক্ষিত হয়ই, ভঙ্গিমাও সুন্দর হয়। পেশির নমনীয়তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দুর্বাসাসন বা দুর্বাসন তেমনই একটি আসন। পৌরাণিক দুর্বাসা মুনির নাম থেকে এই আসনের এমন নামকরণ করা হয়েছে।
যোগাসন প্রশিক্ষকেরা এই আসনের নাম দিয়েছেন ‘উত্থান এক পদ শীর্ষাসন’। এক পায়ে দাঁড়িয়ে অন্য পা মুড়িয়ে ঘাড়ের পিছন দিক থেকে নিয়ে যেতে হবে। মাথা থাকবে সোজা। দুর্বাসাসনে কেবল পা নয়, ঘাড়ের পেশিও শক্তপোক্ত হয়। এই আসন রপ্ত করা এক দিনের কাজ নয়। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ও সংযম জরুরি। দুর্বাসাসন অষ্টাঙ্গ যোগের একটি অংশ। প্রশিক্ষকের সাহায্য ও পরামর্শেই এই আসন অভ্যাস করা উচিত।
দুর্বাসাসন করার নিয়ম
· সবচেয়ে আগে এক পায়ে কিছু ক্ষণ দাঁড়ানো অভ্যাস করতে হবে।
· প্রথমে ডান পায়ে দাঁড়িয়ে বাম পা কাঁধের উপর তুলুন।
· বাম পায়ের পাতা ঘাড়ের পিছন দিক দিয়ে যাবে।
· মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ান।
· দৃষ্টি থাকবে সামনের দিকে।
· শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেন্ড ওই ভঙ্গিমায় থাকুন।
· এ বার বাম পা নামিয়ে ডান পা কাঁধের উপর তুলে ফের অভ্যাস করুন।
উপকার কী কী?
১) তলপেটের মেদ কমবে তাড়াতাড়ি।
২) পেট, নিতম্ব ও কোমরের মেদ ঝরে যাবে।
৩) পায়ের পেশি শক্তপোক্ত ও নমনীয় হবে। পায়ের জোর বাড়বে।
৪) শরীরের ভঙ্গিমা সঠিক হবে। কুঁজো হয়ে হাঁটার অভ্যাস থাকলে তা দূর হবে।
৫) ঘাড় ও পিঠের ব্যথা, বাতের ব্যথা কমবে।
৬) স্নায়ুর জটিল অসুখের ঝুঁকি কমবে।
৭) সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
৮) মানসিক চাপ কমবে, মনঃসংযোগ অনেক বাড়বে।
কারা করবেন না?
· হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না।
· হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হয়েছে যাঁদের, তাঁরা করবেন না।
· পা, কোমর বা পিঠে আঘাত লাগলে এই আসন করা যাবে না।