শুধু ওষুধ খেলেই কি চুল ভাল হবে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছরই কম-বেশি চুল পড়ে। কারও কারও আবার শীতকালে বা বর্ষাকালে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেরই বক্তব্য শরীরে পর্যাপ্ত বায়োটিনের জোগান দেওয়া। তাই পরামর্শ মতো কয়েক দিন বায়োটিনে সমৃদ্ধ ওষুধ খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু এই বায়োটিন আসলে কী, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এই বায়োটিন কী ভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কেও অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই।
বায়োটিন আসলে কী?
চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বায়োটিন হল ভিটামিন বি৭। যা নতুন চুল গজাতে এবং চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। বায়োটিন চুলে প্রাকৃতিক ভাবে কেরাটিন উৎপাদন করতেও সাহায্য করে। চুল, ত্বক এবং নখের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে এই কেরাটিন। নতুন চুল গজানোর প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল নতুন কোষ তৈরি হওয়া। বায়োটিন নামক উপাদনটি চুলের ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করে। ফলে নতুন চুল গজায় তাড়াতাড়ি।
কোন কোন খাবারে প্রাকৃতিক ভাবে বায়োটিন থাকে?
ডিম:
ডিম হল বায়োটিনের প্রাকৃতিক উৎস। বিভিন্ন প্রকার খনিজের পাশাপাশি ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকে বায়োটিন। তাই চুল, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রতি দিন একটি করে ডিম রাখতেই হবে।
বাদাম এবং বিভিন্ন প্রকার বীজ:
কাঠবাদাম, চিনেবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির মতো খাবার বায়োটিনে সমৃদ্ধ। প্রতি দিন একমুঠো বাদাম এবং বিভিন্ন বীজের মিশ্রণ খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োটিন পৌঁছয়।
মাছ:
যে সব মাছে তেলের পরিমাণ বেশি, সেই ধরনের মাছে বায়োটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়াও থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই উপাদানটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
মিষ্টি আলু:
শুধু বায়োটিন নয়, এই ধরনের আলুতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে যায়। বায়োটিনের পাশাপাশি চুল ভাল রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হল ভিটামিন এ।
দুগ্ধজাত খাবার:
দুধ, দই, চিজ়, পনির বা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই বায়োটিনের উৎস। এ ছাড়া, দুধের মধ্যে সিংহভাগই রয়েছে ক্যালশিয়াম। যা চুলের গোড়া, নখ, দাঁত এবং হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে।