প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
সারা জীবনে কখনও হেঁচকি ওঠেনি এমন মানুষ বোধহয় খুব কম রয়েছেন। সময়ে অসময়ে হঠাৎ শুরু হয় এই যন্ত্রণা। হেঁচকি উঠলে জল খেতে হয়, এমন কথা শুনে আমরা অনেকেই বড় হয়েছি। কিন্তু এই টোটকা সব সময় কাজ করে না। সমানে হেঁচকি উঠেই যায়। এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে কী করে নিস্তার পাওয়া যায়? বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। কিন্তু তার আগে জেনে নিন, ঠিক কী কারণে হেঁচকি ওঠে।
১। প্রচুর মদ্যপান করলে
২। হঠাৎ খুব উত্তেজিত হয়ে পড়লে
৩। মানসিক চাপ থাকলে
৪। খুব তাড়াতাড়ি অনেকটা খেয়ে ফেললে
৫। হঠাৎ আশপাশের তাপমাত্রা খুব বদলে গেলে
৬। বেশি মশলাদার খাবার খেলে
৭। কার্বোনেটেড পানীয় খেলে
কী করে থামাবেন
১। শ্বাস প্রশ্বাসের ধরন বদলালে নিমেষে কাজে দেয়। কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারেন, একটি কাগজের ব্যাগের ভিতর শ্বাস নিতে পারেন, কিংবা হাঁটু জড়িয়ে ধরে শ্বাস নিতে পারেন।
২। হাতের তালু চেপে ধরার মতো কিছু টোটকা ইন্টারনেটে খুঁজলেই পাওয়া যায়। তবে অনেকেই সেগুলি বিশ্বাস করতে চান না। তবে এগুলি একদম ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আমাদের শরীরের কিছু প্রেসার পয়েন্ট রয়েছে। সেগুলি বুঝতে পারলে কাজে লাগাতে পারবেন। নাক বন্ধ করে পর পর ঢোক গিলে দেখুন, নিমেষে কাজে দেবে। হাতের তালু মুঠো করে ধরতে পারেন। জিভ বার করে রাখলেও কাজে দেবে। এক থেকে দু’বার ধীরে ধীরে এটা করতে হবে।
৩। বরফ জল ধীরে ধীরে খেতে পারেন। গরম জল শ্বাস না নিয়ে খেতে পারেন। বরফ চুষতে পারেন। বরফ জলে গার্গল করতে পারেন।
৪। লেবু চুষতে পারেন। জিভের উপর এক ফোঁটা ভিনিগার ফেলতে পারেন। এক চামচ মধু পিনাট বাটার দিয়ে খেতে পারেন। তবে গেলার আগে মুখে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এক চামচ চিনি খেতে পারেন।
৫। গলার পিছন দিকে ম্যাসাজ করতে পারেন। অন্য কোনও কাজে মন দিতে পারেন।
৬। শেষ উপায়ের কোনও বৈজ্ঞনিক ব্যাখ্যা নেই। তবে বেশ কিছু প্রাপ্তবয়স্করা জানিয়েছেন, অর্গ্যাজম হলে হেঁচকি থেমে যেতে পারে। কিন্তু হেঁচকি ওঠাকালীন তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হওয়া সম্ভব কি না, তা তর্ক সাপেক্ষ।