সবুজের ছোঁয়ায় কী ভাবে সাজিয়ে তুলবেন বাড়ি? ছবি:ফ্রিপিক।
ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ প্রকৃতি। জানলা খুললে আর আকাশ চোখে পড়ে না। দৃষ্টি বাধা পায় কোনও উঁচুতল বহুতলের জানলায়। আম, জাম, পেয়ারা চিনলেও শহরের বহু স্কুলপড়ুয়ারই হয়তো গাছ চেনার সুযোগই হয়নি।
তবে চাইলে খুদেকে সবুজের সান্নিধ্যের সুযোগ করে দিতে পারেন চার দেওয়ালের গণ্ডিতেই। ঘরের ভিতর এবং বাইরে সাজিয়ে তুলতে পারেন রকমারি গাছে। ফলাতে পারেন শাকসব্জিও। কেমন হবে সেই সজ্জা?
গাছ বাছাই: অন্দর এবং বারান্দা বা বাগান কী ভাবে সাজাতে চান, সেই মতো পরিকল্পনা করে গাছ বেছে নেওয়া জরুরি। ঘরের ভিতরে কতটা আলো-হাওয়া খেলে তা দেখে উপযোগী গাছ বাছাই করতে হবে। কয়েকটি গাছ একেবারেই অল্প আলোয় বেঁচে থাকতে পারে। পোথোস, পিস লিলি, সাক্যুলেন্ট এ রকম গাছ অন্দরের জন্য বেছে নিতে পারেন।
সবুজ জ়োন: যে ধরনের গাছগুলির জন্য হালকা সূর্যালোক যথেষ্ট, দু’দিন বা তিন দিন অন্তর জল দেওয়া যায়, মোটমুটি যত্নআত্তি, সারের প্রয়োজন একই রকম, সেগুলি বাড়ির একটি নির্দিষ্ট অংশে রাখতে পারেন। এতে গাছের দেখভাল করতে সুবিধা হবে। জানলার পাশের দেওয়ালে যেখানে রোদ আসে, সেখানে উল্লম্ব ভাবে গাছ সাজাতে পারেন।
সুদৃশ্য গাছ: ঘরের টেবিল, আনাচকানাচে সুদৃশ্য টবে সুন্দর গাছপালা সাজিয়ে রাখতে পারেন। তালিকায় রাখতে পারেন বিভিন্ন বনসাইও। পিসলিলি, প্যাঞ্জি-সহ যে সমস্ত ফুল কম আলোয় বেড়ে উঠতে পারেন সেগুলি রাখতে পারেন টেবল সজ্জার জন্য।
লতানে গাছ: ট্রাম্পেট ভাইন, মর্নিং গ্লোরি, অপরাজিতা, মধুমালতীর মতো গাছগুলি এমন জায়গায় বসাতে পারেন যাতে বারান্দার রেলিং, থাম জড়িয়ে বেড়ে ওঠে। গাছভর্তি ফুল ফুটলে নিমেষে বদলে যাবে বাড়ির সৌন্দর্য।
সব্জি এবং ফল: শুধু ফল, ক্যাকটাস নয়, ধনেপাতা থেকে কারিপাতা, কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো থেকে পেয়ারা, কমলালেবু সবটাই এখন ছোট টবেও ফলানো যায়। শুধু কৌশল জানতে হবে।
মরসুমি ফুল: মরসুম অনুযায়ী রকমারি ফুলে ছাদ থেকে বারান্দার বাগান সাজিয়ে তুলতে পারেন। শীতের দিনে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গরমে এবং বর্ষায় বেলিফুল, জুঁইফুল বসাতে পারেন।