Tomatoes from Kitchen Garden

টোম্যাটো ২০০ টাকা কেজি, বাজার থেকে না কিনে বাড়ির কিচেন গার্ডেনে তা ফলাতে পারেন সহজেই

বাড়ির কিচেন গার্ডেনে তো প্রয়োজনীয় নানা রকম গাছ থাকে। সেখানে টোম্যাটোর বীজ পুঁতে দেখলে তো হয়। কিন্তু তার জন্যে কেমন মাটির প্রয়োজন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৮
Image of Tomatoes

— প্রতীকী চিত্র।

টোম্যাটো ছাড়া কোনও পদেই তেমন স্বাদ হচ্ছে না। টাটকা টোম্যাটোর বিকল্প যে সস্‌ বা পিউরি নয়, তা হাড়ে হা়ড়ে টের পাচ্ছেন। এ দিকে বাজারে টোম্যাটো কিনতে গিয়ে তো ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়। আশপাশের বাজারে টোম্যাটো কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। রান্নার স্বাদ তেমন হচ্ছে না বলে যে গিন্নির উপর রাগ দেখাবেন, সে উপায়ও নেই। উল্টে টোম্যাটো কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বলে নিজের উপরেই রাগ হচ্ছে। তবে বাড়ির কিচেন গার্ডেনে তো প্রয়োজনীয় নানা রকম গাছ থাকে। সেখানে টোম্যাটোর বীজ পুঁতে দেখলে তো হয়। কিন্তু গাছে টোম্যাটো ফলাতে কেমন আবহাওয়া, মাটি প্রয়োজন, তা কি জানা আছে?

Advertisement

বাড়ির বারান্দায় টোম্যাটো ফলানোর পদ্ধতি

১) প্রথমে একটি ট্রেতে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পুরু মাটির স্তর তৈরি করে নিন। এ ক্ষেত্রে মাটির পিএইচের মাত্রা ৬.০ থেকে ৬.৮ থাকাই বাঞ্ছনীয়।

২) বীজ থেকে চারা বেরোনোর জন্যে ২১ ডিগ্রি থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আদর্শ। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই গাছ থেকে চারা বেরিয়ে আসবে। তবে সরাসরি সূর্যের আলো যাতে চারাগুলির গায়ে না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩) বাড়িতে টোম্যাটো চাষ করার আরও একটি শর্ত হল মাটির জলধারণের ক্ষমতা। এই সব্জি চাষ করতে গেলে খুব বেশি জল যেমন প্রয়োজন হয় না, তেমন মাটি একেবারে শুকনো খটখটেও রাখা যায় না। বীজ থেকে চারাগাছ বেরোনোর আগে পর্যন্ত মাটিতে জল স্প্রে করলেই কাজ হয়ে যায়।

৪) বীজ থেকে চারাগাছ বেরিয়ে এলে সেগুলিকে আলাদা করে তুলে অন্য টবে বসাতে হবে। তবে তা করতে হবে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে। চারাগাছের শিকড় যেন ছিঁড়ে না যায়।

৫) ট্রে থেকে টবে আলাদা করে বসানোর সময়ে মাটি হতে হবে ঝুরঝরে।বা়

Image of Tomatoes.

বাড়ির বারান্দায় হতে পারে এমন টোম্যাটো গাছও। ছবি: সংগৃহীত।

৬) গাছ বসানোর কয়েক দিন পর রোদে রাখা যেতে পারে।

৭) নিয়মিত মাটিতে জল দেওয়ার পাশাপাশি গাছের গোড়ায় যাতে জল দাঁড়াতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

৮) ফলন বাড়িয়ে তোলার জন্যে মাঝে মধ্যে কম্পোস্ট সার দেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement