কাঠের বাসন দেখতে যেমন নান্দনিক, তেমন স্বাস্থ্যকরও।
স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, কাচের পাশাপাশি হেঁশেলে জায়গা করে নিয়েছে কাঠের বাসনপত্রও। কাঠের হাতা, খুন্তি ব্যবহার করেন অনেকেই। আবার রান্নায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র গুছিয়ে তুলে রাখতেও কাঠের পাত্র ব্যবহার করা হয়। কাঠের বাসন দেখতে যেমন নান্দনিক, তেমন স্বাস্থ্যকরও। তবে এই ধরনের বাসনের রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ঝামেলার। কারণ এক বার ময়লা হলে সহজে পরিষ্কার করা যায় না। কাঠের হাতা, খুন্তি ব্যবহার করলে সেগুলি ভাল করে পরিষ্কার না করলে অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যায়। আঠাল ভাব থাকে। এ ধরনের শৌখিন বাসনপত্র একটু সাবধানে রাখা জরুরি। ঠিক করে রাখতে না পারার ভয়ে অনেকেই এই ধরনের বাসনপত্র ব্যবহার করতে ভয় পান। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই কিন্তু কাঠের বাসন নতুনের মতো রাখা সম্ভব। কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতেই কাঠের বাসন পরিষ্কার রাখতে পারেন।
ভিনিগার
বহু ব্যবহারেও কাঠের বাসন নতুনের মতো রাখতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ভিনিগার। হেঁশেলের এই উপকরণটি বেশ উপকারী। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ মধু এবং দু’চামচ ভিনিগার একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটিতে সুতির কাপড় ভিজিয়ে কাঠের বাসনপত্রের গায়ে ভাল করে ঘষতে থাকুন। কয়েক বার ঘষে নিলে ময়লা সহজেই উঠে আসবে।
লেবু
বাসনপত্র ঝকঝকে রাখতে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার। কাঠের চামচ, থালা বাসন পরিষ্কার করতেও লেবুর রসের উপর ভরসা রাখতে পারেন। ঈষদুষ্ণ গরমজলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটিতে কাঠের বাসনপত্রের উপর ঢেলে দিন। কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ভাল করে ঘষে নিলে বাসনপত্রের আঠালো ভাব চলে যাবে।
বেকিং সোডা
একটি পাত্রে বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কাঠের বাসনপত্রে লাগিয়ে রাখুন। কয়েক ঘণ্টা পরে গরমজল দিয়ে বাসনগুলি ভাল করে ধুয়ে নিন। এই টোটকায় কাঠের বাসনপত্র থেকে জেদি দাগ সহজে উঠে যায়।
নুন
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি, কাঠের বাসনপত্র পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী নুন। গরমজলের মধ্যে নুন মিশিয়ে জলটি কাঠের বাসনের উপর ঢেলে দিন। কিছু ক্ষণ রাখুন। তার পর জল থেকে সেগুলি তুলে তোয়ালে দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। দেখবেন, আপনার বাসনপত্রগুলি সহজেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।