বুগেনভেলিয়ার বাগান হতে পারে বাড়িতেও। ছবি: সংগৃহীত।
যাঁরা গাছ ভালবাসেন, তাঁদের মধ্যে বুগেনভিলিয়ার প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ কমই আছেন। লাল, আলতা-সিঁদুরে গোলাপি কিংবা সাদা বুগেনভিলিয়া ধরা দেয় আলাদা ভাবে। রাস্তার ধারে কিংবা কোনও বাড়ির পাঁচিলে বুগেনভিলিয়া বেড়ে ওঠে সহজেই। কিন্তু বাড়ির টবে পুঁততে গেলেই বাঁচে না বুগেনভিলিয়া— এমন ধারণা আছে অনেকের। তবে তা একেবারেই ঠিক নয়। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে বাড়িতেও তরতরিয়ে বেড়ে উঠবে বুগেনভিলিয়া।
সাধারণ ভাবে আমরা যাকে বুগেনভিলিয়ার ফুল বলে চিনি, তা আসলে পাতা। এক সঙ্গে ফুটে থাকা এই সুন্দর রঙিন থোকাগুলিকে বলে ‘ব্র্যাক্টস’। বুগেনভিলিয়ার ফুল লুকিয়ে থাকে পাতার দলে। ফলে যা আমাদের নজর কাড়ে, তা আসলে ‘ব্র্যাক্টস’।
বাড়িতে যদি বুগেনভিলিয়ার বাগান করার শখ থাকে, তা হলে কী ভাবে গাছের যত্নআত্তি করতে হবে জেনে নিন। রইল সহজ টিপস।
গাছের যত্নআত্তি
বুগেনভিলিয়ার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন আলো, মাটি, জল, সার।
আলো
পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আছে এমন জায়গায় বুগেনভিলিয়া তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। অন্তত পক্ষে ছ’ঘণ্টা সূর্যের কড়া আলোয় এই গাছ রাখা জরুরি। এই গাছ তাপও সইতে পারে। তাই ছাদ, বেশি রোদ এবং আলো ঢোকে, এমন জায়গায় রাখুন এই গাছ। যত বেশি আলো পাবে গাছ, ততই তাতে উজ্জ্বল রঙ ধরবে।
মাটি
এই গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে দোঁআশ মাটির সঙ্গে পচা পাতা, চা পাতা মিশিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। গাছ বড় হবে সেই মাটিতে। তার সঙ্গে খেয়াল রাখুন, মাটি যেন হয় ঝুরঝুরে।
জল
বুগেনভিলিয়া গাছের মাটি তাড়াতাড়ি জল টেনে নেয়। যে হেতু কড়া রোদে এই গাছ রাখতে হয়, তাই মাটিও শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। গরম কালে প্রত্যেক দিন জল দেওয়া প্রয়োজন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যেন জল জমে না থাকে। মাটি সব সময় ভিজে থাকলে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। শীত কালে একদিন অন্তর জল দিলেই হবে।
সার
খুব ভাল করে সার দিতে হবে মাটিতে। তবে বুগেনভিলিয়াতে মাসে এক বার এক টেবিল চামচ সর্ষের খোল দিলেই চলে। দুই বা তিন সপ্তাহ অন্তর মাটি এক বার করে খুঁচিয়ে দেবেন। নিয়মিত জল, আলো পেলে দেখা যাবে ধীর ধীরে কচি পাতা জন্মাচ্ছে। ঋতু বদলের সময়েও বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে। সমস্ত পাতা ঝরে গেলে গাছের আগার দিক বেশ খানিকটা ছেঁটে দিতে হবে।