ছবি: প্রতীকী
এই গরমে বিছানার চাদর এক দিন অন্তর পাল্টে ফেলছেন। ঘুমের মধ্যেও এমনই ঘাম হচ্ছে যে, সেই চাদরে পরের দিন আর পিঠ ঠেকাতেই ইচ্ছে করছে না। তা ছাড়া সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় শুতে গেলেই তো ঘুম আসে না। তার জন্য মনকেও শান্ত করা প্রয়োজন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর এবং মনকে শান্ত করতে এই গরমে শুধু কাচা চাদর পাতলেই হবে না। রঙের ব্যবহার কেমন হবে, তা-ও মাথায় রাখা জরুরি।
১) ধবধবে সাদা
চোখ এবং মনকে শান্ত করতে সাদার কোনও বিকল্প নেই। তাই গরমের দিনে সাদা রঙের চাদর বিছানায় পাতা যেতেই পারে। অনেকে আবার নোংরা হওয়ার ভয়ে সাদা রং এড়িয়ে চলেন। একেবারে ফটফটে সাদা না হয়ে, সাদার উপর হালকা রঙের ছোট ছোট প্রিন্ট করাও হতে পারে।
২) ধূসর নীল
নীল রঙের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। গাঢ় নীল রঙের মধ্যে যে গাম্ভীর্য রয়েছে, তা আকাশি বা ধূসর নীলের মধ্যে কিন্তু নেই। এই ধরনের ধূসর নীল চোখের জন্য আরামের। তেতেপুড়ে ঘরে এসে এমন নীলিমায় গা ভাসিয়ে দিতেই পারেন।
৩) পুদিনার মতো সবুজ
সবুজ রং সতেজতার প্রতীক। রোদের তাপে ঝলসে যাওয়া গাছের যে সবুজ রং তা মনের ক্লান্তি দূর করতে পারে না। বরং বৃষ্টিস্নাতা পুদিনা পাতার সবুজ রং শরীর এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
৪) প্যাস্টেল হলুদ
ম্লান, ফ্যাকাশে গ্রীষ্মের দুপুরে ঘরে প্রাণের ছোঁয়া দিতে পারে এই রং। প্যাস্টেল শেডের হলুদ সারা দিনের ক্লান্তি কাটিয়ে মনকে সতেজ করে তুলতে পারে। তবে হলুদের সঙ্গে মানিয়ে ধূসর বা সাদা রঙের বালিশের খোল এবং পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
৫) ল্যাভেন্ডার
ল্যাভেন্ডারের সুবাস যেমন মনকে শান্ত করে, তেমন এই ফুলের রং শরীরে প্রশান্তির ঠান্ডা পরশ এনে দেয়। তীব্র দহনবেলায় শরীর এবং মনকে শান্ত করতে ল্যাভেন্ডার রঙের চাদর বিছানায় পেতে দেখতেই পারেন।