এমন কোন জিনিস পরিষ্কার করতে ভুলে যান? ছবি: সংগৃহীত।
সারা সপ্তাহ সময় হয় না। কিন্তু, ছুটির দিনে নিয়ম করে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করেন। কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে গোটা সপ্তাহের জমিয়ে রাখা জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে দেন। হেঁশেলের জমা নোংরা জমা থাকে ডাস্টবিনে। সেই পাত্রটি যেখানে থাকে, তার আশপাশের জায়গা পরিষ্কার করতে হয়। না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়। কিন্তু, এমন কয়েকটি জিনিস রয়েছে, হাজার কাজের ভিড়ে যা পরিষ্কার করার কথা চট করে মনে পড়ে না। অথচ আমরা প্রায় রোজই সেগুলি ব্যবহার করে থাকি। জানেন, সেগুলি কী?
১) ওয়াশিং মেশিন:
বাড়ি ফিরেই প্রতিদিনের ধুলো-ময়লা, নোংরা মাখা জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু পোশাক কেচে বার করে নেওয়ার পর ওই যন্ত্রের খাঁজে জমে থাকা নোংরা পরিষ্কার করার কথা কারও মাথায় থাকে না। দিনের পর দিন এই ভাবে ওয়াশিং মেশিন অপরিষ্কার রাখলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানো স্বাভাবিক। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করা খুব ঝক্কির কাজ। তা কিন্তু একেবারেই নয়। জলের মধ্যে সাবান এবং ভিনিগার দিয়ে জামাকাপড় কাচার মতোই ওয়াশিং মেশিন বেশ কিছু ক্ষণ চালিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই যন্ত্রটি একেবারে নতুনের মতো ঝকঝক করবে। বেশি নয়, বছরে অন্তত দু’বার এই ভাবে ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করলেই কাজ হবে।
২) ইয়ারফোনের বাড:
অনলাইন মিটিংয়ে কিংবা গান শুনতে কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখেন। সেই যন্ত্রটি ব্যবহার করার পর তা পরিষ্কার করতে ভুলে যান। এ দিকে কানের মধ্যে জমে থাকা ময়লা ইয়ারবাডের খাঁজে ঢুকে যায়। দিনের পর দিন এই ভাবে নোংরা জমা ইয়ারফোন ব্যবহার করতে থাকলে কানে সংক্রমণ হতেই পারে। তাই প্রতি বার কানে ইয়ারফোন ব্যবহার করার আগে তা টিস্যু পেপার, অ্যালকোহল দিয়ে মুছে নেওয়া প্রয়োজন।
৩) ডাস্টবিন:
বাড়ির যত ধুলো-ময়লা, হেঁশেলের নোংরা জমা থাকে ডাস্টবিনে। পরের দিন সকাল হতে না হতেই সিটি বাজিয়ে পরিবেশ বন্ধুরা সেই ময়লা নিতে চলে আসেন। ডাস্টবিনে জমা ময়লা ফেলে দেওয়ার পর তা ধোয়ার কথা বেশির ভাগ সময়েই মনে থাকে না। অনেকেই হয়তো জানেন না এই ময়লা রাখার পাত্রটি থেকেও কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে পারে। রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত একটা দিন এই বিন পরিষ্কার করা জরুরি।