চাঙ্গা থাকার মন্ত্র জানে চিঁড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
পালা-পার্বণ, কিংবা উপোসের দিনে মা-ঠাকুমারা চিঁড়ে-দুধ কিংবা চিঁড়ে-দই খেয়ে থাকেন। পেটের গোলমাল হলে অনেক সময়ে মায়েরা চিঁড়ে খাওয়ার নিদান দেন। সকালের জলখাবার হিসেবে অনেক গেরস্তবাড়িতেই চিঁড়ে খাওয়ার চল রয়েছে। তবে তরুণ প্রজন্মের পছন্দ টোস্ট, ওট্স কিংবা কর্নফ্লেক্স। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পুষ্টিগুণের বিচারে ওট্স কিংবা কর্নফ্লেক্সের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে চিঁড়ে। যাঁদের দুধ খেলে পেটের সমস্যা হয়, তাঁরা যদি চিঁড়ের সঙ্গে দই খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তবে আরও ভাল।
সকালের জলখাবারে চিঁড়ে খাবেন কেন?
আগের দিন রাতে খুব গুরুপাক কিছু খেয়ে থাকলে সকালে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু পেট ভার বলে সকালে একদম কিছু না খেয়ে থাকাও ভাল নয়। তাই পেট ঠান্ডা করতে দই-চিঁড়ে খাওয়া যেতেই পারে।
ওট্স, কর্নফ্লেক্স, ব্রাউন ব্রেডের মতো খাবারে ফাইবারে পরিমাণ বেশি থাকে। যাঁদের ফাইবার খেলে হজমে সমস্যা হয়, তাঁরা অনায়াসেই চিঁড়ে খেতে পারেন। চিঁড়েতে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা সহজপাচ্য। তাই শিশু থেকে বয়স্ক— সকলেই খেতে পারেন।
চিঁড়ে প্রক্রিয়াজাত নয়। তাই এই খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষত থাকে। পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে চিঁড়ে।
দ্রুত মেদ ঝরাতে ভাত, রুটির মতো খাবার খাচ্ছেন না। কিন্তু শরীরে শক্তির জোগান দেওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট তো প্রয়োজন। তাই দই-চিঁড়ের মতো খাবার ডায়েটে রাখা যেতেই পারে।
উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে অনেক খাবারেই নিষেধ থাকে। তবে বহু চিকিৎসকই পথ্য হিসেবে রোগীদের চিঁড়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই চিঁড়ে খাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শুধু চিনি বা গুড়ের পরিমাণে লাগাম রাখতে হবে।