Nail

Health Problem: দাঁত দিয়ে নখ কাটছেন? জানেন কি এর ফলে কোন কোন বিপদ ডেকে আনছেন আপনি?

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি দাঁত দিয়ে নখ ছেঁড়ার অভ্যাস বন্ধ না করা যায়, শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২১ ১৭:০৭
বড় বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

বড় বিপদ ডেকে আনছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত

ছোট থেকে দাঁত দিয়ে টেনে টেনে নখ ছিঁড়ছেন? ভাবছেন, এ আর এমন কী? ছোটবেলায় তো মা-বাবার নিষেধ পাত্তা দেননি। তখনই যদি কোনও সমস্যা না হয়ে থাকে, তা হলে এখন আর কী হবে! যদিও বিষয়টি তেমন নয়, বলছে হালের গবেষণা।

সম্প্রতি জেফ্রি ফ্রাই নামে আমেরিকার এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি দাঁত দিয়ে নখ ছেঁড়ার অভ্যাস বন্ধ না করা যায়, শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।

Advertisement

ওনিকোফাজিয়া। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই গালভরা নামটি দেওয়া হয়েছে দাঁত দিয়ে নখ ছেঁড়ার অভ্যাসকে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ কমবেশি এই সমস্যায় আক্রান্ত।

কেন এই ‘ওনিকোফাজিয়া’য় আক্রান্ত হন মানুষ? সে বিষয়ে চিকিৎসকেরা এখনও নিশ্চিত নন। তবে দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপ, অবসাদ বা উদ্বেগের পরিমাণ বাড়লে এই সমস্যা বাড়ে। কখনও কখনও একঘেয়েমি কাটাতেও অনেকে এই কাজ করেন।

বয়স বাড়লে এই অভ্যাসের কারণে সমস্যা বাড়ে।

বয়স বাড়লে এই অভ্যাসের কারণে সমস্যা বাড়ে।

কেন সমস্যা হয় এর ফলে?

সারা দিন আমরা বহু জিনিস ধরি, বহু মানুষের সঙ্গে হাত মেলাই। তার ফলে হাতে নানা ধরনের জীবাণু আসে। যাদের বেশির ভাগই আশ্রয় নেয় নখের কোণে। দাঁত দিয়ে নখ ছিঁড়লে সেগুলি সরাসরি মুখে চলে আসে। গলা, ফুসফুস, পেট, নাকের মতো জায়গায় নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটায় সেগুলি।

জেফ্রি ফ্রাই নামের চিকিৎসকের দাবি, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষ করে প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছনোর আগে এই অভ্যাস যাঁরা ত্যাগ করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে পরে সমস্যা গুরুতর হতে পারে।

কী করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?

তারও দাওয়াই বাতলেছেন চিকিৎসকেরা। নখ ছোট করে কেটে ফেলুন। তাতে কাজ না হলে ওষুধের দোকানে খোঁজ নিন। এমন ওষুধ পাবেন, যেগুলি নখে লাগিয়ে রাখতে হয়। ওই ওষুধ লাগানো নখ মুখে গেলেই অস্বস্তি হয়। ফলে এই অভ্যাস কমে যেতে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement