খবরের কাগজের ঠোঙা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। প্রতীকী চিত্র
খবরের কাগজ দিনের দিন পড়ার জন্য হলেও তার পরে নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। পেতে বসা থেকে তার উপরে খাবার রেখে খাওয়া সবই করা হয়। খবরের কাগজের ঠোঙায় চাল, ডাল থেকে মুড়ি-তেলেভাজা, মিষ্টি অনেক কিছুই দেওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু অনেকেরই এটা জানা নেই যে, এটা মারাত্মক ক্ষতিকারক। খবরের কাগজ ছাপার জন্য ব্যবহৃত কালি খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ক্যানসারের মতো মারাত্মক অসুখের ভয় রয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার সাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির অনেক চেষ্টা করলেও সে ভাবে সাফল্য মেলেনি। তবে এখনও স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের তরফে এ নিয়ে নিয়মিত প্রচারাভিযান চলে।
অতীতে অনেক গবেষণায় উঠে এসেছিল যে, খবরের কাগজের ঠোঙায় রাখা খাবার শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। একই কথা বলছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)। সংস্থার তরফে বলা হয়, খবরের কাগজে ব্যবহার করা কালিতে থাকে একাধিক বায়োঅ্যাকটিভ পদার্থ। যা খবরের কাগজে মুড়ে রাখা বা ঠোঙায় রাখা খাবারে সহজেই সংক্রমিত হয় যা শরীরের উপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলতে পারে। আবার এই কালিতে যে সলভেন্ট ব্যবহার করা হয় তা-ও শরীরের জন্য কার্সিনোজেনিক হতে পারে।
২০১৬ সালে এফএসএসএআই প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, খবরের কাগজের ঠোঙায় খাবার রাখা খুবই অস্বাস্থ্যকর। পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর ভাবে রান্না করা খাবারও খবরের কাগজে মুড়ে রাখলে বিষক্রিয়া হতে পারে। খবরের কাগজে প্রিন্টিং ইঙ্কে ব্যবহৃত রং, পিগমেন্ট, প্রিজারভেটিভ, রাসায়নিক, প্যাথজেনিক মাইক্রো অরগ্যানিজম পেটে গেলে বড়সড় শারীরিক সমস্যা হতে পারে। রিসাইকল করা কাগজ দিয়ে তৈরি কার্ডবোর্ড বাক্সে থাকা রাসায়নিক পেটে গেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। এর ফলে যে কোনও বয়সেই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।