ননস্টিক পাত্র ব্যবহারের সময় ৫ ভুল এড়িয়ে চলুন। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসের পৌঁছনোর তাড়া, ছেলেমেয়ের স্কুলের তাড়া, কখনও আবার অন্য ব্যস্ততা— কর্মব্যস্ত জীবনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় খরচ করার অবকাশ কার কাছেই বা আছে? কড়াইতে কষিয়ে রান্না করলে স্বাদ বাড়ে বটে, তবে ননস্টিক কড়াইয়ের মতো চটজলদি রান্না হয় না। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষও অল্প তেলে রান্নার জন্য ননস্টিক পাত্রের উপর ভরসা রাখেন। মাছের ঝোল হোক কিংবা চচ্চড়ি, আলুভাজা হোক কিংবা মুরগির রসা— সব রান্নার জন্যই ননস্টিক কড়াই কিংবা প্যানের উপর ভরসা রাখছেন অনেকেই। তবে দীর্ঘ দিন এই পাত্র ব্যবহার করা যায় না, এমন অভিযোগ করেন অনেকেই। অল্প দিনেই ননস্টিক পাত্রের উপরের পরত খুলে যায়, ফলে তা আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। আমাদেরই কিছু ভুলের কারণে আয়ু কমে যায় ননস্টিক পাত্রগুলির। এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করার আগে কোন ৫টি বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) গরম ননস্টিক পাত্র ভুলেও জলের তলায় রেখে দেবেন না। গ্যাস থেকে ননস্টিক কড়াই নামিয়েই জলের তলায় দেবেন না। এই ভুলে পাত্রের উপরের পরত বা চটা উঠতে শুরু করে। পাত্রটি ঘরের তাপমাত্রায় আসার পর ধুতে হবে।
২) খুব বেশি জোরে জোরে মাজা-ঘষা করবেন না। কড়াইতে পোড়া দাগ লাগলে খানিক ক্ষণ সাবান মাখিয়ে পাত্রটি রেখে দিন, তার পর হালকা সাবান-জল দিয়ে মেজে নিন। তারের জালি নয়, পাত্রগুলি পরিষ্কার করার সময়ে নরম কিছু ব্যবহার করুন। স্পঞ্জ বা কাপড় ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল হয়।
৩) খুব বেশি আঁচে ননস্টিক পাত্রে রান্না করলে কিন্তু ননস্টিক পাত্রের পরত উঠতে খুব বেশি সময় লাগে না। তাই ননস্টিক কড়াই, ফ্রায়িং প্যান ব্যবহারের সময় গ্যাসের আঁচ ঢিমে রাখাই ভাল।
৪) ননস্টিক বাসন ধোয়ার পর মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। তার পর অন্য ধাতব বাসনপত্র থেকে আলাদা করে রাখুন। এতে ননস্টিক পাত্রে আঁচড় পড়বে না।
৫) ননস্টিক পাত্রে ভুলেও স্টিলের হাতা-খুন্তি ব্যবহার করবেন না। কাঠ কিংবা সিলিকনের হাতাই ব্যবহার করতে হবে। তাড়াহুড়ো থাকলেও এ ক্ষেত্রে ভুল করা চলবে না।