কলকাতায় ভাল মটন কষা খেতে হলে কোন কোন রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
রোগবালাইয়ের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে এখনও অনেক বাঙালি বাড়িতেই রবিবারের দুপুরে পাঁঠার মাংস চাই-ই-চাই। উৎসব অনুষ্ঠানের দিন ভূরিভোজে মটন থাকবে না, তা আবার কখনও হয় নাকি? বাড়িতে পাঁঠার মাংস রাঁধতে ইচ্ছা না করলে কষা মটন মানেই গোলবাড়ির মাংসের কথা সবার আগে মনে পড়ে। বাঙালির কাছে গোলবাড়ির মাংস মানেই এক অন্য আবেগ। শ্যামবাজারের মোড়ে এই ছোট্ট দোকানটির মাংসের স্বাদ বাঙালির মুখে লেগে রয়েছে। তবে গোলবাড়ি ছাড়াও কলকাতায় ভাল মটন কষা খেতে হলে অন্য কোন রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারতে পারেন, রইল তার হদিস।
রূপা: পুজোর সময়ে কেনাকাটা করতে হাতিবাগানে গেলে এক বার শ্যামবাজারের এই রেস্তরাঁয় মটন খেতে যেতেই পারেন। এখানকার কালো ভুনা মটন কষার স্বাদ সত্যিই অনবদ্য। নরম তুলতুলে রুমালি রুটির সঙ্গে কষা মাংসের স্বাদ চেখে দেখতেই পারেন। মটন কষা ছাড়াও এখানে পেয়ে যাবেন মটন লিভার কারি, মটন কিমাও, তারও স্বাদ ভোলার নয়।
কষে কষা: পুজোয় বাড়ির লোকেদের নিয়ে রেস্তরাঁয় বসে ভাল মটন কষা খেতে হলে ঢুঁ মারতে পারেন কষে কষায়। খাঁটি বাঙালি এই রেস্তরাঁয় বাঙালি থালি অনেকেই খান, তবে এখানকার পোলাওয়ের সঙ্গে কষা মাংসের যুগলবন্দিটা এক বার চেখে দেখতে পারেন। মন ভোলানো সেই স্বাদ এক বার চেখে দেখলে বার বার খেতে ইচ্ছা করবে। দীর্ঘ ক্ষণ লোহার কাড়াইয়ে কষিয়ে এই রেস্তরাঁয় মটন কষা বানানো হয়, স্বাদ কিন্তু খানিকটা গোলবাড়ির ধাঁচের।
পাঞ্জাব হিন্দু হোটেল: গোলবাড়ির ঠিক পাশেই রয়েছে এই ছোট্ট রেস্তরাঁ। এখানকার মোগলাই, মটন বিরিয়ানির পাশাপাশি মটন কষাও বেশ ভাল। নরম তুলতুলে মটন মুখে দিলেই যেন গলে যাবে। মটন কষার সঙ্গে পরিবেশন করা হবে রুমালি রুটি, তেঁতুলের চাটনি আর স্যালাড। স্বাদবদল করতে এই রেস্তরাঁয় কিন্তু ঢুঁ মারতেই পারেন।
নিরঞ্জন আগার: গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে এই রেস্তরাঁর ডিমের ডেভিল অনেকেই খেয়েছেন, তবে এখানকার মটন কষাও যে বেশ ভাল, তা অনেকেই জানেন না। ওই চত্বরে গেলে এক বার এই রেস্তরাঁর মটন কষা খেয়ে দেখতে পারেন, নিরাশ হবেন না। খুব বেশি মশলাদার নয়, অথচ স্বাদ অতুলনীয়।
জগন্নাথ হোটেল: পাইস হোটেলে বসে খেতে ভালবাসেন? তা হলে কলেজ স্ট্রিটের জগন্নাথ হোটেল থেকে এক বার ঘুরে আসতেই পারেন। ভাতের সঙ্গে জমিয়ে পাঁঠার মাংসের স্বাদ উপভোগ করতে হলে এখানে ঢুঁ দিন। খুব বেশি মশলাদার খাবার পছন্দ না হলে এখানকার রগরগে মাংসের ঝোল আপনার মনে ধরবেই।