সহজে মরে না এমন গাছ। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শখ করে ঘরে রাখার গাছ কিনেছেন। কিন্তু যত্নের অভাবে বা আবহাওয়ার কারণে কিছুতেই সেগুলি বাঁচাতে পারছেন না। সত্যি কথা বলতে কি, কাজের ব্যস্ততায় নিয়মিত গাছে জল দিতে ভুলেও যান। কাজের চাপে, তাড়াহুড়োতে অন্দরসজ্জার জন্য বিশেষ কিছু কিনতে পারেননি। কিন্তু পুজোর সময়ে ঘরের সাজে কোনও বদল আসবে না, তা তো হয় না। তাই গাছ দিয়েই ঘরের ভোল পাল্টে দেবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু এক-দু’দিনের মধ্যেই যদি সেই গাছ শুকিয়ে, নেতিয়ে মরার উপক্রম হয়, তা হলে বিপদ। তবে এমন কিছু গাছ আছে, যা অল্প পরিচর্চাতেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।
১) স্নেক প্লান্ট
খুব কম জলে বেঁচে থাকে এই গাছগুলি। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই। তাই ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও রাখতে পারেন এই গাছগুলি। সপ্তাহে এক দিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে এক বার জল দিলেও চলে।
২) ক্রোটন
ভারতের পরিবেশে ঘরের ভিতরে রাখার জন্য যে ক’টি গাছ সবচেয়ে জনপ্রিয়, তার মধ্যে এটি একটি। গাঢ় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ফোঁটার এই গাছটি নানা ধরনের পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। কিছু দিন ঘরের ভিতরে রাখার পর একে হঠাৎ বাথরুমে রাখলেও যেমন অসুবিধা হয় না, তেমনই বাথরুমে বহু বছর রাখার পর হঠাৎ এক দিন বাগানে বার করে দিলেও এটি সেই পরিবেশে মানিয়ে নেয়। যাঁদের অভিজ্ঞতা কম, তাঁরা এই গাছ বাথরুমে রেখে সহজেই সুন্দর করে তুলতে পারেন স্নানের ঘরটি।
৩) পিস লিলি
বৈজ্ঞানিক নাম স্প্যাথিফাইলাম। এই গাছ অফিসের টেবিলের জন্য খুব ভাল। বেশি জল লাগে না। রোজ অতি সামান্য জল দিলেই বেঁচে থাকে। তবে মনে রাখবেন, খুব গরমে এই গাছ বাঁচানো মুশকিল। অফিস বা বাড়ির কাজের ঘরে এসি থাকলে কোনও সমস্যা নেই।
৪) জেড প্লান্ট
ছোট ধরনের গাছগুলিকে সাক্যুলেন্ট বলা হয়। ঘর সাজানোর জন্য আদর্শ। জেড প্ল্যান্টের পাতাগুলি ছোট ছোট হলেও বেশ ঝোপের মতো বড় হয়। জানলায় কিংবা টেবিলে রাখতে পারেন। খুব বেশি আলোর প্রয়োজন নেই গাছের। এবং আর পাঁচটা সাক্যুলেন্টের মতো বেশি জল দিলে মরে যায় এই গাছও। তাই সপ্তাহে এক দিন খুব সাবধানে অল্প জল দেবেন। আর দেখবেন জল যেন মাটিতে জমে না থাকে।
৫) জিজি প্লান্ট
বেশি জল দিলেই বরং মরে যায় এই গাছগুলি। এই গাছের পাতার রং খুব চকচকে। তাই পড়ার টেবিলে বা বসার ঘরের সেন্টার টেবিলে রাখলে দারুন লাগবে। তবে ধুলো পড়ে গেলে দেখতে ভাল লাগে না। সে ক্ষেত্রে অল্প জলের স্প্রে করতে পারেন কিছু দিন অন্তর। কিন্তু গাছে ঘনঘন জল দেওয়া চলবে না। মাটিতে আঙুল দিয়ে দেখবেন। একদম শুকনো মনে হলে তবেই আবার জল দেবেন।