কালচে ঠোঁটের পিছনে লুকিয়ে কোন রোগের ঝুঁকি? ছবি: সংগৃহীত।
সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গিয়ে অনেক সময়ই উঠে আসে ঠোঁটের প্রসঙ্গ। ঠোঁট নিয়ে লেখা হয়েছে কত প্রেমের পদ্য, কত গান। ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে আমরা সচেতন থাকলেও ঠোঁটের প্রতি আমাদের অবহেলার অন্ত নেই। তাই ঠোঁটের রং বদলে গেলেও অনেকেরই সেই নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা থাকে না। অথচ সামান্য এই রংবদল ডেকে আনতে পারে বিপদের ঝুঁকি। ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ হল ধূমপান। নিকোটিন এবং বেনজোপাইরিন ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কালো হয়ে যেতে পারে ঠোঁট। এ বিষয়ে সতর্ক আর ক’জনই বা হয়ে থাকেন! কিন্তু আরও নানা কারণে ঠোঁটের রং কালো হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন, ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার পিছনে আর কোন কোন কারণ দায়ী হতে পারে।
১) অ্যাডিসনস ডিজিজ়: এই রোগের প্রভাবে হাইপার পিগমেন্টেশন ঘটতে পারে। যা কালো করে দেয় ঠোঁটের রং। এই রোগের প্রভাবে শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসোল এবং অ্যালডোস্টেরন নামক হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে দেহের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে আসতে পারে। বাদ পড়ে না ঠোঁটও।
২) ক্যানসার: ঠোঁটের কালো দাগ ক্যানসারের উপসর্গও হতে পারে। বিশেষত যদি এই দাগ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, সংশ্লিষ্ট স্থানে রক্তপাত হয় এবং ক্রমশ ক্ষতের চেহারা নিতে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মেলানোমা নামক ক্যানসারের লক্ষণ এটি।
৩) সায়ানোসিস: ঠোঁট নীলচে হয়ে এলে এবং তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি সায়ানোসিসের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
উপরের কারণগুলি ছাড়াও বিভিন্ন কারণে গোলাপি ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে। সন্তানধারণের পর মায়েদের শরীরে হরমোনাল বদল আসে সেই কারণেও অনেকের ঠোঁট কালচে হতে শুরু করে। এ ছাড়া বিশেষ কোনও ওষুধের প্রভাবে ও সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবেও বদলে যেতে পারে ঠোঁটের রং।