কাতারে আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের মুখোমুখি দ্বৈরথ— অথচ শহর জুড়ে যেন উৎসবের আবহ। প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যায় ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। আর্জেন্টিনা না কি ফ্রান্স— কার হাতে যাবে বিশ্বকাপ, তা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। পাড়ার মোড় থেকে চায়ের দোকান— সবর্ত্র বিশ্বকাপের আলোচনা। কাতারে আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের মুখোমুখি দ্বৈরথ— অথচ শহর জুড়ে যেন উৎসবের আবহ। একে রবিবার। তার উপর খেলা আবার বেশি রাতেও নয়। রাত ৮.৩০টা থেকে শুরু ফাইনাল। ফুটবলপ্রেমী বাঙালিকে সেই সময়ে টিভির সামনে থেকে নড়ায় কার সাধ্য! ছুটির দিন হলেও সপ্তাহান্তে বেশ কিছু কাজ সেরে রাখেন অনেকেই। তবে খেলার একটি মুহূর্তও যাতে চোখের আড়াল না হয়, সে কারণে আগেভাগে অনেকেই কাজ সেরে রেখেছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালের মহারণ একা একা দেখে মজা নেই। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলা দেখার পরিকল্পনা করেছেন অনেকেই। একসঙ্গে বসে খেলা দেখবেন বলে বাড়িতে বন্ধুবান্ধবদেরও আসতে বলেছেন।
উদ্দেশ্য খেলা দেখা হলেও অতিথি বাড়িতে আসবে মানে ঘরবাড়িও তো গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন। বাড়ির যে জায়গায় বসে খেলা দেখবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন, সেই জায়গাটি গুছিয়ে ফেলুন। অন্তত একসঙ্গে সবাই যাতে স্বস্তিতে বসতে পারেন, সেই ব্যবস্থাটি করে ফেলুন। হাতে সময় থাকলে ঘরগুলি একটু সাজিয়ে নিতে পারেন।
শীতকাল বলে ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার প্রশ্ন নেই। কিন্তু গরম গরম চা, কফি তো থাকতেই পারে। খেলার মাঝে বার বার উঠে চা, কফি বানানো ঝামেলা। তাই দু’টি বড় ফ্লাস্কে চা আর কফি বানিয়ে আগে থেকে তৈরি করে রাখুন। তা হলে আর খেলা দেখা ছেড়ে চা করতে ওঠার চিন্তা থাকবে না।
সন্ধ্যায় খেলা হলেও উত্তেজনায় বিকেল বিকেল হয়তো চলে আসবেন অনেকে। জমিয়ে খেলা দেখতে বসার আগে আলোচনা, হইহুল্লোড়, গল্পগুজব চলবে। কিন্তু এই উত্তেজনা, আবেগ কি শুধু খালি মুখে চলবে? শুধু তো চা নয়, সঙ্গে ‘টা’ চাই। খেলা দেখতে দেখতে মুখ না চালালে চনমনে ভাব আসবে কী ভাবে? চিপস, চানাচুর তো আছেই, তা ছাড়া বন্ধুদের মন জয় করতে আর কী খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন?
আলু টিক্কি পিৎজা
খেতেও সুস্বাদু, আবার বানানোরও ঝামেলা একেবারে নেই। সকালে বাজার থেকে পিৎজা পাউরুটি আর আলু টিক্কি কিনে আনতে পারেন। বন্ধুরা এলে গরম গরম টিক্কিগুলি ভেজে নিয়ে পিৎজা পাউরুটির মাঝখানে বসিয়ে একটু সস ঢেলে পরিবেশন করুন।
সসেজ
সসেজ বানানোর ঝামেলা সবচেয়ে কম। শুধু ফ্রিজ থেকে বার করে ডোবা তেলে ভেজে নিলেই হল। তবে আগে থেকে ভেজে রাখবেন না। খেলা শুরুর আগে ভাজুন। গরম সসেজে কামড় দিতে দিতে বিশ্বকাপ দেখার মজাই আলাদা।
মাখানা
ভুট্টা, মাখানা অনেকেই ভালবাসেন খেতে। পুজোর আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, খেলা দেখার সময়ে ভরসা রাখতে পারেন এই খাবারগুলিতে। গোলমরিচ, মাখন দিয়ে ভাজলে মাখানাও কিন্তু দারুণ সুস্বাদু খেতে লাগবে।
পকোড়া
বাইরে থেকে না কিনে, বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন নানা ধরনের পকোড়া। বাড়িতে মুরগির মাংস থাকলে তো কথাই নেই। আগে থেকে পুর বানিয়ে রাখুন। খেলা শুরুর আগে ভেজে নিন। টম্যাটো সসের সঙ্গে গরম গরম পকোড়ায় জমে যাবে রবিবারের ফুটবল বিশ্বকাপের সন্ধ্যা।
চিপস
বাইরের প্যাকেটজাত চিপসে নুন অনেক বেশি থাকে। সেগুলি খেতে না চাইলে বাড়িতে পাতলা করে আলু কেটে চটপট চিপস বানিয়ে নিতে পারেন। সেটা হয়তো বাজারচলতি চিপসের মতো খেতে হবে না, তবে গোলমরিচ গুঁড়ো, বিটনুন ছড়িয়ে পরিবেশন করলে মন্দ লাগবে না।