প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কেন বিবাহবিচ্ছেদ হয় ইলনের? ছবি: সংগৃহীত।
ইলন মাস্কের জীবনী নিয়ে গাঁথা এক গল্প নিয়ে চারদিকে শুরু হয়েছে হইচই। ইলনের এই জীবনীর উপর ভিত্তি করা একটি গল্পে তাঁর ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের নানা কাহিনি উঠে এসেছে। ইলনের প্রথম স্ত্রী জাস্টিন মাস্ক প্রাক্তন স্বামীর এক অন্য রূপ তুলে ধরেছেন সেই গল্পে। সেই গল্পে জাস্টিন ইলনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অনেক রকম কথাই বলেন। কী ভাবে ইলনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হল সেই নিয়েও সরব হয়েছেন লেখক। ‘আই ওয়াজ় আ স্টার্টার ওয়াইফ’ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে মেরি ক্ল্যারি নামক একটি ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজ়িনে।
পাঁচ সন্তানের মা জাস্টিন বলেন, বিয়ের পর প্রথম রাত থেকেই তিনি সম্পর্কে নেতিবাচক বিভিন্ন দিকের আঁচ পেতে শুরু করেন। জান্টিন বলেন, ‘‘রিসেপশনের দিন ইলন আমাকে জানিয়ে দেয়, এই সম্পর্কে নাকি সে-ই সর্বেসর্বা। দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ইলন বড় হয়েছে। ওর মধ্যে মহিলাদের শাসন করার স্বভাব শুরু থেকেই। মাস্কের কঠোর স্বভাব তাঁকে ব্যবসায়ী হিসাবে সফল করেছে বটে, তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়। বিয়ের পর যত দিন যেতে থাকে ইলনের ব্যবহারও আমার প্রতি বদলাতে শুরু করে। ও আমার কোনও কথারই কোনও গুরুত্ব দিত না। আমি ওকে বলতে শুরু করি যে, আমি ওর কর্মচারী নয়, আমি ওর বৌ।’’
এই কথার ভিত্তিতে ইলনের জবাব অবাক করত জাস্টিনকে। ইলন বলতেন, জাস্টিন ওঁর কর্মচারী হলে তিনি তাঁকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করে দিতেন। জাস্টিনের সাজপোশাক, চুলের রং কেমন হবে, তা-ও ঠিক করে দিতেন ইলন। ইলন ও জাস্টিনের প্রথম সন্তান নেভেদার মৃত্যুর পরে আরও তলানিতে যায় তাঁদের সম্পর্ক।
নেভেদার পর প্রথম যমজ এবং তার পরে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন জাস্টিন। ২০০৮ সালে জাস্টিন ও ইলনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। একটি সাক্ষাৎকারে ইলন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, বিচ্ছেদের পর তিনি জাস্টিনকে বড় অঙ্কের টাকা দিতে চেয়েছিলেন, তবে জাস্টিন কোনও টাকাই নিতে চাননি। ইলন আরও জানান, তাঁর ৫ সন্তানের সব রকম আর্থিক দায়িত্ব তিনিই বহন করেন।