প্রতীকী ছবি।
এক টানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ। তার সঙ্গে নিত্য ভাজাভুজি খাওয়া। শরীরচর্চার অভাব। মানসিক চাপ। সব মিলে কম বয়সেই বাড়ছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এ সব অভ্যাসেই অল্পবিস্তর বদল আনা প্রয়োজন। তার সঙ্গে আরও একটি বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। নজর দিতে হবে জল খাওয়ার অভ্যাসেও।
অনেকেই কাজের চাপে সময়মতো জলও খেয়ে উঠতে পারেন না। সারা দিনে হয়তো মাত্র চার-পাঁচ গ্লাস জল খাওয়া হয়। কিন্তু তা করলে হবে না। এতে বিপদ আরও বাড়ছে। দিনে অন্তত আট গ্লাস জল খাওয়া গেলে সেই বিপদ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
ইওরোপিয়ান স্টাডি অব কার্ডিয়োলজিক্যাল কংগ্রেসে হার্টের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে জলের ভূমিকার কথা। রোজ কে কতটা জল খাচ্ছেন, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করে হার্টের স্বাস্থ্য।
কতটা জল খাওয়া শরীরের জন্য জরুরি?
দিনে আন্তত ৪ লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ রাখতে সুবিধা হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জলের মাপ এক নয়। কারও বেশি জল প্রয়োজন, কারও আবার একটু কমেও হয়। পুরুষদের শরীরের মহিলাদের চেয়ে বেশি জল দরকার পড়ে বলেও বক্তব্য বিজ্ঞানীদের।
জল কম খেলে কী ভাবে ক্ষতি হয়?
হালের গবেষণা বলছে, কম জল খেলে শরীরে সেরাম সোডিয়ামের মাত্রা কমে। শরীরও সেই সঙ্কেত বুঝে জল সংরক্ষণ করতে থাকে। তার ফলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশনের ফলে রক্ত ঘন হয়ে যায়। তার জেরে হৃদ্যন্ত্রের বেশি জোর দিয়ে পাম্প করতে হয়। তাতে শরীরের উপর চাপ বাড়ে। আর হৃদ্রোগের আশঙ্কাও বাড়ে। এ ছাড়া, জলে অনেকটা পরিমাণ ম্যাগনেশিয়ামও থাকে। শরীরে এই উপাদানটির মাত্রা বেশি থাকলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে।