Gujarat couple

আমেরিকার বাসিন্দা হওয়ার বাসনা! ১ কোটি টাকা খরচ করেও স্বপ্নপূরণ হল না দম্পতির

গুজরাতের হিতেশ পটেল ও তাঁর স্ত্রী বিনাল ২০১৮ সালে প্রথম বার আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন সে বার অধরা থেকে যায়। এ বারেও হল না স্বপ্নপূরণ! কারণটা কী?

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৬:১৮
কোটি টাকা খরচ করেও অধরা রইল স্বপ্ন!

কোটি টাকা খরচ করেও অধরা রইল স্বপ্ন!

গুজরাতের এক দম্পতিকে জাল পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে রবিবার আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

খেড়া জেলার মহুধা তালুকের অন্তর্গত সিঙ্গালি গ্রামের বছর ৩২-এর হিতেশ পটেল, তাঁর স্ত্রী বিনাল ও চার বছরের মেয়েকে নিয়ে আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে বসবাসের জন্য মরিয়া ছিলেন। আমেরিকায় থাকার জন্য যে কোনও কাজ করতে রাজি ছিলেন তিনি।

Advertisement

এই গুজরাতি দম্পতি ২০১৮ সালে প্রথম বার আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন সে বার অধরা থেকে যায়। জাল পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য আয়ারল্যান্ড থেকেই তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল সেই সময়।

এর পরেও আমেরিকায় থাকার স্বপ্ন ছাড়তে পারেননি দম্পতি। আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন সফল করতে এক জন মানব পাচারকারীর সঙ্গে এক কোটি টাকার চুক্তি করেন তাঁরা।

বিদেশে গিয়ে পাকাপাকি ভাবে থাকার জন্য হিতেশের স্ত্রী বিনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি থেকে ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ঘটনাটি গোপন করার জন্য এবং জাল পাসপোর্ট নিয়ে দুবাই সফরে যাওয়ার জন্য দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের (এসওজি) এক আধিকারিক জানান যে হিতেশ এবং বিনাল দুবাই-মেক্সিকো পথ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরা মুম্বইয়ের এক জন মানব পাচারকারীর সহায়তায় নতুন পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছিলেন।

হিতেশের বোন এবং ভগ্নীপতি আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকেন, সেখানে তাঁদের উপার্জনও বেশ ভাল। আর এই কারণেই বেশি টাকা উপার্জনের আশায় এমন ভুল করে বসেন পটেল দম্পতি।

অফিসার আরও জানান, দম্পতি ২০১৮ সালের জুনে আয়ারল্যান্ডে যান এবং মাত্র চার দিনের মধ্যে সেই দেশ থেকে তাঁদের নির্বাসিত করা হয়। ভারতে পৌঁছনোর পরে, তাঁরা এক জন মানব পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় হিতেশের শ্যালক মারফত। এজেন্ট তাঁদের পুরনো পাসপোর্ট বদলে নতুন বানিয়ে দেয়। নতুন পাসপোর্টে আগে সফর করা কোনও দেশের সিলমোহর ছিল না।

দম্পতির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এখন তার তদন্তভার এসওজি-কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement