দু’টি আলাদা আলাদা টিকা দেওয়া হবে কি এ বার? ছবি: সংগৃহীত
করোনার প্রথম টিকা হিসেবে কোভিশিল্ডের তৈরি টিকা নিয়েছেন? হয়তো অন্য কোনও সংস্থার তৈরি দ্বিতীয় টিকা নিতে হতে পারে। হালে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল-ও এমন ভাবেই টিকা নিয়েছেন। প্রথম টিকাটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার। দ্বিতীয় টিকাটি মডার্নার।
একই সংস্থার তৈরি দু’টি টিকা নয়, আলাদা আলাদা সংস্থার তৈরি একটি করে টিকা দেওয়ার প্রচলন বাড়ছে বিভিন্ন দেশে। ভবিষ্যতে কি তবে এ ভাবেই টিকাকরণ হবে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
হালে সব দেশেই করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। কিন্তু একটি সংস্থার টিকার বদলে বহু দেশই আলাদা আলাদা সংস্থার দু’টি টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে নাগরিকদের।
ইতিমধ্যেই কানাডা এবং তাইল্যাল্ড আলাদা সংস্থার দু’টি টিকা দেওয়া চালু করেছে। ভুটান, ইতালির মতো দেশও দু’রকমের টিকা দেওয়ার বিষয় নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
দু’টি সংস্থার দু’টি টিকা নিলে লাভ হতে পারে কি?
ডেল্টার বিরুদ্ধে কোন টিকা বেশি কার্যকর, তা নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই দেখা গিয়েছে, দু’টি আলাদা আলাদা সংস্থার টিকা কাউকে দেওয়া হলে, তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি বেশি পরিমাণে তৈরি হচ্ছে। সকলের ক্ষেত্রে এমনটা না হলেও, অনেকের ক্ষেত্রেই তেমন হচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে। সমীক্ষা বলছে, ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকা (কোভিশিল্ড)-র দু’টি টিকা নেওয়ার পর কারও শরীরের যত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, এই দুই সংস্থার একটি করে টিকা মিশিয়ে নিলে তার চেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু দিন আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। তাদের মতে, আলাদা আলাদা সংস্থার দু’টি টিকা নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। চিকিৎসকেরাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র মতোই এই পদ্ধতিকে পুরোপুরি সবুজ সিগন্যাল দিচ্ছেন না। তাঁদের অনেকের মতে, এ বিষয়ে এখনও যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য বা পরীক্ষার ফল হাতে নেই। ফলে এখনই এই ভাবে টিকাকরণ করা অনুচিত।
তবে চিকিৎসকেরা যেমন বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যাপ্ত সমীক্ষা হয়নি, তেমনই এই ধরনের টিকাকরণের ফলে ক্ষতি হয়েছে— এমন খবরও আসেনি। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লাভই হয়েছে।
আগামী দিনে দু’টি সংস্থার দু’টি টিকা প্রয়োগ করে কোভিডকে প্রতিহত করার ব্যবস্থা করা যাবে বলে আশা।