Bristol Zoo

চরম অর্থসঙ্কট, পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে গেল ১৮৬ বছরের প্রাচীন চিড়িয়াখানার দরজা

পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে গেল ব্রিস্টল পশু উদ্যান। লকডাউন ও কোভিড-পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার জেরে বছর খানেক একেবারেই কমে গিয়েছিল দর্শকসংখ্যা। খরচ চালাতে না পেরে চিড়িয়াখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৩৫
কয়েক প্রজন্মের মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে চিড়িয়াখানাটির সঙ্গে।

কয়েক প্রজন্মের মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে চিড়িয়াখানাটির সঙ্গে। ছবি- সংগৃহীত

দাঁড়ি পড়ল ১৮৬ বছরের ঐতিহ্যে। ৩ অগস্ট শনিবার, চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন চিড়িয়াখানা ‘ব্রিস্টল জু’-এর দরজা। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিমে ব্রিস্টলে চিড়িয়াখানাটি তৈরি হয় ১৮৩৬ সালে। এত দিন এটি ছিল পৃথিবীর পঞ্চম প্রাচীনতম চিড়িয়াখানা। মূলত আর্থিক ভার বহন করতে না পারার কারণেই বন্ধের সিদ্ধান্ত, জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
ইতিহাসের অবসান।

ইতিহাসের অবসান। ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘ ইতিহাসে কম টানাপড়েন দেখেনি এই চিড়িয়াখানা। বিশ্বযুদ্ধের সময় পশুদের স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। তবু বন্ধ হয়ে যায়নি এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সামলানো গেল না কোভিডের ধাক্কা। লকডাউন ও কোভিড-পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার জেরে বছর খানেক একেবারেই কমে গিয়েছিল দর্শকসংখ্যা। চিড়িয়াখানার কিছু জমি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান চালানোর চেষ্টা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দিতে হল বহু ঐতিহাসিক উত্থান-পতনের সাক্ষী এই প্রতিষ্ঠান। চিড়িয়াখানার জায়গায় এ বার গড়ে উঠবে বহুতল।

শনিবার প্রিয় চিড়িয়াখানায় শেষ বারের মতো ঘুরতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। কয়েক প্রজন্মের মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে চিড়িয়াখানাটির সঙ্গে। তাই আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। কিন্তু চিড়িয়াখানা ভাঙা পড়লে পশুগুলির কী হবে? কর্তৃপক্ষের দাবি, অধিকাংশ পশুকেই অন্যান্য চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিছু পশুকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে শহরের অন্য একটি জায়গায়।

আরও পড়ুন
Advertisement