Akshay Kumar

গভীর জলের খিলাড়ি! নীল পুলে ডুবে ডুবেও শরীরচর্চা করেন ৬০ ছুঁইছুঁই অক্ষয়

জিমে যাওয়া থেকে সাঁতার কাটা— ফিট থাকতে অক্ষয় বাদ রাখেন না কিছুই। সম্প্রতি অক্ষয়ের নতুন একটি শরীরচর্চার ঝলক দেখা গেল। ‘অ্যাকোয়া ওয়ার্কআউট’ করছেন অভিনেতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৪
Bollywood Actor Akshay Kumar’s Aqua water will give you Major Fitness Inspiration.

অক্ষয়ের নতুন সাধনা। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স বাড়লেও পর্দায় তিনি এখনও সেই যৌবনেই আটকে আছেন। বলিউডে তিন দশক পার করলেন অক্ষয় কুমার। এই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসে অন্য কোনও চরিত্রে নয়, নায়ক হিসাবেই সব সময়ে বড় পর্দায় উপস্থিত হয়েছেন। এমনকি, অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি যে বয়সের অভিনেত্রীদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন, এখনও কমবয়সি নায়িকাদের বিপরীতে কাজ করে চলেছেন তিনি। এ মাসেই ৫৬-তে পা দিয়েছেন অক্ষয়। কিন্তু অভিনেতাকে দেখে একেবারেই তা বোঝার উপায় নেই। ফিটনেসেও বলিপাড়ার তরুণ অভিনেতাদের সমান তালে পাল্লা দিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অক্ষয় নিজের মুখে জানিয়েছেন, জীবনে একটাই জিনিস তিনি চান। যত দিন বাঁচবেন, যেন এখনকার মতোই শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে পারেন।

Advertisement

নিজেকে ফিট রাখতে পরিশ্রম কম করেন না অক্ষয়। ক্যারাটের ব্ল্যাক বেল্ট এই তারকার জীবনযাপনও অনুপ্রেরণা জোগায়। সিগারেট খান না। মদ্যপান করেন না। কড়া ডায়েট করেন। শরীরচর্চার প্রতি সব সময়েই আলাদা করে নজর অভিনেতার। জিমে যাওয়া থেকে সাঁতার কাটা— বাদ রাখেন না কিছুই। সম্প্রতি অক্ষয়ের নতুন একটি শরীরচর্চার ঝলক দেখা গেল। ‘অ্যাকোয়া ওয়ার্কআউট’ করছেন অভিনেতা।

ফিট হওয়ার জন্য নয়। বরং এই ধরনের শরীরচর্চা ভিতর থেকে ফিট না হলে করা যায় না। বেশ পরিশ্রমসাধ্য এই শরীরচর্চা। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস না থাকলে এটা করা সম্ভব নয়। তবে অক্ষয় অনায়াসে এই শরীরচর্চা করছেন। উঁচু জায়গায় পা রেখে গোটা শরীরটা এক বার জলের মধ্যে ডোবাচ্ছেন আবার তুলছেন। অর্থাৎ, ‘ওয়াটার ক্রাঞ্চেস’ করছেন অক্ষয়। কখনও আবার জলের নীচে গিয়ে শুয়ে শুয়ে ডাম্বেল তুলছেন। এই ধরনের ব্যায়ামে পেশি শক্তিশালী হয়। কোমরে মেদ জমতে পারে না। পেটের মেদও ঝরে নিমেষে। পরিশ্রমসাধ্য শরীরচর্চা করেও ৬০ ছুঁইছুঁই অক্ষয়কে এক বারও ক্লান্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়নি। বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর ফিটনেসের প্রতি সাধনা এই কারণে বলিপাড়ার চর্চার বিষয়। শোনা যায়, ছবিতে কোনও ঝুঁকির দৃশ্য থাকলে অনেক সময়ে তিনি স্টান্টেরও সাহায্য নেন না। নিজেই করেন। পর্দায় সেই দৃশ্য দেখে অনেক সময়ে শিউরে ওঠে দর্শক। এই বয়সেও সেগুলি অবলীলায় করে ফেলেন অভিনেতা। সবটাই তার দৈনন্দিন জীবনের পরিশ্রমের ফসল বলে মনে করেন অনেকে।

আরও পড়ুন
Advertisement