মুখের মেদ ঝরিয়ে ফেলা রাতারাতি সম্ভব নয়। প্রতীকী ছবি।
ওজন বাড়লে শরীরে যেমন মেদ জমে, তেমনই থুতনির দু’পাশেও চর্বি জমতে থাকে। যা সত্যিই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। সৌন্দর্যের নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। কেউ চান ভরাট মুখ। আবার কারও পছন্দ তীক্ষ্ণ, শানিত থুতনি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে থুতনির চারপাশে মেদ জমতে থাকে। প্রসাধন দিয়ে ত্বকের দাগছোপ ঢাকা গেলেও, মুখের অতিরিক্ত চর্বি ঢাকা যায় না। এ ছাড়া দৈনন্দিন জীবনে নানা বদ অভ্যাসের কারণে মুখে মেদ জমতে থাকে। এর ফলে কম বয়সে অনেক বেশি বয়স্ক দেখায়। মুখের মেদ ঝরিয়ে ফেলা রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে কয়েকটি ব্যায়াম নিয়ম মেনে করতে পারলে মুখের মেদ ঝরবে দ্রুত।
মাছের মতো মুখ
‘পাউট’ করে নিজস্বী তুলতে পছন্দ করেন অনেকেই। ক্যামেরার সামনে ছাড়াও তীক্ষ্ণ চিবুক পেতে মাঝেমাঝেই এমন ভঙ্গি করুন। গাল দুটো তুবড়ে মুখটা মাছের মতো করে রাখুন। এ বার এই ভঙ্গি ধরে রেখে মুখ প্রসারিত করে যতখানি হাসা যায়, হাসুন। দিনে ৭ থেকে ১০ বার এই ব্যায়ামটি করলে মুখের মেদ ঝরবে।
মুখ ধোয়ার মতো করে
মুখ ধোয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করলেও মেদ ঝরতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মুখে জল না নিয়ে বাতাসের সাহায্য নিতে হবে। যে ভাবে কুলকুচি করা হয়, সে ভাবে মুখের মধ্যে বাতাসকে এক কোণ থেকে অন্য কোণে নিয়ে যেতে হবে। ২০-৩০ সেকেন্ড টানা করুন। তার পরে বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন।
হো হো করে হাসুন
হাসলে সৌন্দর্য যেন উপচে পড়ে। চিবুকের সুগঠিত ও নিখুঁত ভাব ফিরে পেতেও প্রাণখোলা হাসির কোনও জুড়ি নেই। মুখ টিপে মাপা হাসি বা জোর করে হাসি নয়, মনের আনন্দে দিনে ৮–১০ বার হাসলে গলার মেদ কমবে।
চিউংগাম চিবোন
দাঁত খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় ছোটবেলার চিউংগাম খেতে দিতেন না বাবা-মায়েরা। তবে মুখের মেদ কমাতে ছোটবেলার এই নস্টালজিয়া হতে পারে আপনার অন্যতম হাতিয়ার। চিউইংগাম চিবোলে মুখের বাড়তি মেদ ঝরে যায়। এতে গালের পেশির ব্যায়াম হয়। এর ফলে চোয়াল মেদহীন হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, অধিকাংশ চিউইংগামে প্রচুর চিনি থাকে, এমন চিউইংগাম চিবোলে ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই শুধু চিউইংগামের উপর ভরসা না রেখে অন্য ব্যায়ামগুলিও করতে পারেন।