হাত আর পায়ের অবাঞ্ছিত রোম তুলতে সাধারণত পার্লারেই যান বেশির ভাগ। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে রোম থাকবে, তা অস্বাভাবিক নয়। তবে হাঁটুঝুল কোনও স্কার্ট কিংবা হাতকাটা জামা পরলে হাত-পায়ে রোম থাকুক, তা অনেকেই চান না। ‘ওয়াক্সিং’ অনেক দিনই রূপটানের অঙ্গ। হাত আর পায়ের অবাঞ্ছিত রোম তুলতে সাধারণত পার্লারেই যান বেশির ভাগ। তবে সব সময় পার্লারে যাওয়ার সময় থাকে না। তখন বাড়িতেই ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ‘সুগার ওয়াক্স’ বানিয়ে ফেলতে হয়। পার্লারে কিংবা বাড়িতে রোম তোলার পর অনেকেরই ত্বকে এক ধরনের অস্বস্তি হয়। ত্বকে র্যাশও বেরিয়ে যায়। ত্বকের অস্বস্তি আটকাতে ওয়্যাক্সিং-এর আগে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করুন
ত্বক ভাল রাখতে ‘এক্সফোলিয়েশন’ খুব জরুরি। বিশেষ করে রোম তোলার আগে এই পদ্ধতি মেনে চলা ত্বকের জন্য ভাল। ওয়্যাক্সিং করার আগে ত্বকের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মৃত কোষ দূর করুন। তার পর ওয়্যাক্সিং করতে শুরু করুন। ত্বক থেকে মৃত কোষ সরানোর জন্য স্ক্রাবিং করতে পারেন। স্ক্রাবার বাজার থেকে কিনে আনত পারেন, আবার বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন।
ত্বক শুষ্ক হলে ওয়্যাক্সিং নয়
ত্বকের ধরন যদি শুষ্ক হয়, তা হলে রোম না তোলাই শ্রেয়। কারণ শুষ্ক ত্বকে এমনিতে আর্দ্রতার পরিমাণ একেবারেই কম। ওয়্যাক্সিং করলে আর্দ্রতার লেশমাত্র থাকে না। ফলে অত্যধিক শুষ্ক ত্বকে র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা নতুন কিছু নয়। একান্তই যদি ওয়্যাক্সিং করতেই হয়, তা হলে রোম তোলার পর শরীরের সেই অংশে ভাল করে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তা হলে ত্বকের অস্বস্তি কিছুটা হলেও দূরে থাকবে।
ঠিকঠাক রেজ়র ব্যবহার করুন
ওয়্যাক্সিং-এর ক্ষেত্রে কী রেজ়র ব্যবহার করছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতে রোম তোলার ক্ষেত্রে রেজ়রের ব্যবহার এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে যদি ব্যবহার করতেই হয়, সে ক্ষেত্রে কেনার আগে দেখে নিন, রেজ়রের ব্লেডটি যাতে তীক্ষ্ণ হয়। একই রেজ়র বেশি দিন ব্যবহার না করাই ভাল। এতে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওয়্যাক্সিং-এর পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ত্বক তৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক, প্রতি বার ওয়্যাক্সিং করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ক্রিম ব্যবহার করতে না চাইলে লোশন কিংবা তেলও মাখতে পারেন। তবে যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন, সেটি যেন অ্যালকোহল-মুক্ত হয়। তা হলে ত্বকে অস্বস্তি হবে না।