Hair Fall

বহু চেষ্টা করেও কমছে না চুল পড়ার সমস্যা? নেপথ্যে থাকতে পারে রোজের কোন অভ্যাস?

অনেকেই রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে চুল বেঁধে নেন। তাঁদের দাবি, এতে চুলের ডগা ভাঙার আশঙ্কা কমে। চুল খসখসেও হয় না। অনেকেই কিন্তু এখন উল্টো কথা বলছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৩৭
কোন অভ্যাস বদলে চুল পড়া আটকানো সম্ভব ?

কোন অভ্যাস বদলে চুল পড়া আটকানো সম্ভব ? প্রতীকী ছবি।

দিনভর যত্ন করছেন চুলের, তবু কমছে না চুল পড়ার সমস্যা? কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে শোয়ার ঠিক আগের একটি অভ্যাসে। রোজ চুল বেঁধে শুতে গেলে খারাপ হয়ে যেতে পারে চুল।

ধুলোবালি ও দূষণের কারণে এমনিতেই চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ব্যাহত হয় চুলের বৃদ্ধিও। অনেকেই বলেন, রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে টেনে চুল বেঁধে নেওয়ার অভ্যাস থাকলে তবে চুলের ডগা ভাঙার আশঙ্কা কমে। চুল খসখসেও হয় না। তবে বর্তমান গবেষকদের অনেকেই কিন্তু উল্টো কথা বলছেন। এমনিতেই বেশি টেনে চুল বাঁধলে চুলের ক্ষতিই হয় বলে একমত বহু রূপটান বিশেষজ্ঞই। তার উপরে ঘুমের মধ্যে মাথা এ দিক-ও দিক করলে অজান্তেই টান পড়ে চুলে। আলগা হয়ে যায় চুলের গোড়া। যে ফিতে দিয়ে চুল বাঁধা হয়, তাতেও আটকে ছিঁড়ে যেতে পারে চুল।

Advertisement

তবে শুধু এক অভ্যাস বদলে চুল পড়া আটকানো সম্ভব নয়। আরও কিছু কিছু বদল আনতে হবে রোজের অভ্যাসে।

১। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে চুল আঁচড়াবেন। ঠিক মতো চুল না আঁচড়ালে ডগা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

২। সম্ভব হলে এক দিন অন্তর রাতে নিয়ম করে তেল দিয়ে চুল ও মাথার ত্বক মালিশ করতে হবে। রাতে তেল দিলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। যে দিন রাতে তেল দেবেন, তার পর দিন শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। তালুতে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এতে মাথার ত্বক ভাল থাকে।

৩। ঘুমোনোর সময়ে সিল্কের কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে নিতে পারেন। যে বালিশে শোবেন, তাতে পরিয়ে নিতে পারেন সিল্কের ঢাকাও।

৪। চুল ভিজে থাকলে, না শুকিয়ে ঘুমোবেন না। এতে চুল ফেটে যায়। তাই ভাল করে চুল শুকিয়ে তার পরেই ঘুমাতে যান।

আরও পড়ুন
Advertisement