অনন্যা পাণ্ডে, রণবীর সিংহ এবং সোহা আলি খান। —ফাইল চিত্র।
স্কুলড্রেসের গণ্ডিমুক্ত হয়ে ফ্যাশনদুরস্ত হয়ে ওঠার প্রথম সুযোগ পাওয়া যায় কলেজে। কিন্তু তখন তো পকেট গড়ের মাঠ! ফ্যাশনের জন্য যা প্রয়োজন, তেমন নিত্যনতুন জামাকাপড় কেনার টাকা আসবে কোথা থেকে! ফ্যাশনের প্রয়োজনে তাই অনেক ক্ষেত্রেই কলেজপড়ুয়াদের ভরসা হয় মা-ঠাকুমার শাড়ি, গয়না, বাবা-দাদার পুরনো বা না পরা পোশাক, ঘড়ি। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে অন্তত তেমনই চল। দেখা যাচ্ছে বলিউডের তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের অভিনেত্রী সোহা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে এবং রণবীর সিংহ জানিয়েছেন, তাঁরাও ফ্যাশনের প্রয়োজনে কোনও না কোনও সময়ে বাড়িতে সঞ্চিত সাজের জিনিসেই মন দিয়েছেন। তাঁরাও মা-বাবা-দিদা-ঠাকুমার সাজের জিনিস নিয়ে নিজেদের কাছেই রেখে দিয়েছেন। আর আজও সেগুলোই তাদের পোশাকের আলমারির সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস।
রণবীর সিংহ
রণবীরের প্রিয় সাজের জিনিস তাঁর ঠাকুমার মুক্তোর মালা আর মায়ের হিরের দুল। রণবীর বলেছেন, ‘‘আমি এমনিতে গয়না পরতে ভালবাসি। তবে মাঝখানে আমার মুক্তোর হার পরার শখ হয়েছিল। যে পোশাকই পরি না কেন, তার সঙ্গে মুক্তোর মালা গলায় ঝুলিয়ে নিতাম। সেই সময় আমার ঠাকুমার থেকে একটা মুক্তোর মালা চেয়ে নিয়েছিলাম আমি! টিশার্ট-জিন্স থেকে শুরু করে পাঞ্জাবি, শেরোয়ানি, শার্ট— কত কিছুর সঙ্গে যে পরেছি ওই মুক্তোর মালা। ওই সময়েই কানে হিরের দুল পরারও শখ হয়েছিল। মায়ের দুলজোড়া নিয়ে নিয়েছিলাম। দুটোই এখনও আমার কাছেই আছে। ফেরত দিইনি।’’
অনন্যা পাণ্ডে
চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা অভিনয়ের জগতে ধীরে ধীরে সমালোচকদের প্রশংসা পেতে শুরু করেছেন। তাঁর সমসাময়িক অন্য জেন জ়ি অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে থেকেও আলাদা করে চোখে পড়ছেন তিনি। চোখে পড়ছেন তাঁর ফ্যাশনবোধের জন্যও। সেই অনন্যারও আলমারির প্রিয় পোশাকটি হল বাবা চাঙ্কির একটি জ্যাকেট। অনন্যা বলেছেন, ‘‘রোহিত বেহলের নকশা করা একটা দারুণ ব্লেজ়ার আছে বাবার। ওটা আমি বাবার থেকে নিয়ে নিয়েছি।’’ কিছু দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন পোশাকশিল্পী রোহিত। তাঁর শেষ ফ্যাশন শোয়ের শোস্টপার ছিলেন অনন্যা। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘ভেলভেটের তৈরি ব্লেজ়ারটা আমি রেখে দিয়েছি দারুণ একটা কিছুর সঙ্গে ম্যাচ করে পরব বলে।’’
সোহা আলি খান
সোহার আলমারিতে থাকা তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পোশাক হল মা শর্মিলা ঠাকুরের একটি চামড়ার বেলবটম প্যান্ট। সোহা বলেছেন, ‘‘দারুণ দেখতে ওই প্যান্ট। হাঁটু পর্যন্ত ফিটেড। তার পরে অনেকখানি ছড়ানো ঘের দেওয়া। আমার জন্মের কিছু দিন আগে মা ওটা কিনেছিল। ভাবতে পারবেন, তখনও মায়ের কোমর ছিল ২৬! আমি ওটা নিয়ে নিয়েছি মায়ের কাছ থেকে। বেশ কয়েক বার পরেওছি।’’